০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেনিয়ার পার্লামেন্টে আগুন, পুলিশের গুলিতে নিহত ১০

ট্যাক্স বা কর বাড়ানোর প্রতিবাদে কেনিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় পুলিশের গুলিতে অন্তত ১০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর পুলিশ গুলি চালালে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানান, তিনি পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে অন্তত পাঁচজন বিক্ষোভকারীর মরদেহ দেখতে পেয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

ভিভিয়ান আচিস্তা নামের এক প্যারামেডিক ডাক্তার বলেছেন, অন্তত ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রিচার্ড এনগুমো নামের আরেক প্যারামেডিক জানান, পুলিশের গুলিতে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের অনেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ডেভিস তাফারি নামের এক বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে বলেন, আমরা পার্লামেন্ট বন্ধ করতে চাই এবং প্রত্যেক এমপির পদত্যাগ করা উচিত। আমাদের একটি নতুন সরকার গঠন হবে।

এদিন বিতর্কিত বিলটি পাসের পরপরই পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।

সবশেষ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ভূগর্ভস্থ টানেল ব্যবহার করে এমপিদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এদিকে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে দেশটির অনেক শহরেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ, দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নসহ বেশ কয়েকটি কারণে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা যখন চরমে, ঠিক তখনই সরকার ঋণের বোঝা কমাতে কর বাড়িয়েছে। যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না দেশটির জনগণ।

রাজধানী নাইরোবি ছাড়াও নতুন এ বিলের বিরুদ্ধে কেনিয়াজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।

বিলটির কিছু বিষয় সংশোধন করা হলেও বিক্ষোভকারীরা জানান, পুরো বিল বাতিল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে সাতজনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৮৬০

কেনিয়ার পার্লামেন্টে আগুন, পুলিশের গুলিতে নিহত ১০

আপডেট : ১১:২৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

ট্যাক্স বা কর বাড়ানোর প্রতিবাদে কেনিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় পুলিশের গুলিতে অন্তত ১০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর পুলিশ গুলি চালালে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানান, তিনি পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে অন্তত পাঁচজন বিক্ষোভকারীর মরদেহ দেখতে পেয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

ভিভিয়ান আচিস্তা নামের এক প্যারামেডিক ডাক্তার বলেছেন, অন্তত ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রিচার্ড এনগুমো নামের আরেক প্যারামেডিক জানান, পুলিশের গুলিতে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের অনেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ডেভিস তাফারি নামের এক বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে বলেন, আমরা পার্লামেন্ট বন্ধ করতে চাই এবং প্রত্যেক এমপির পদত্যাগ করা উচিত। আমাদের একটি নতুন সরকার গঠন হবে।

এদিন বিতর্কিত বিলটি পাসের পরপরই পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।

সবশেষ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, ভূগর্ভস্থ টানেল ব্যবহার করে এমপিদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এদিকে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে দেশটির অনেক শহরেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ, দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নসহ বেশ কয়েকটি কারণে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা যখন চরমে, ঠিক তখনই সরকার ঋণের বোঝা কমাতে কর বাড়িয়েছে। যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না দেশটির জনগণ।

রাজধানী নাইরোবি ছাড়াও নতুন এ বিলের বিরুদ্ধে কেনিয়াজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।

বিলটির কিছু বিষয় সংশোধন করা হলেও বিক্ষোভকারীরা জানান, পুরো বিল বাতিল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।