ঢাকা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শীর্ষ দুই রুশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
  • / ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাশিয়ার দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তারা হলেন- সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং দেশটির সামরিক বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ। পরোয়ানা জারি করে আদালতের বিচারকেরা বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে এই দু’জন জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগভিত্তিক আদালতটি। এতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ইউক্রেনে বিভিন্ন বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য শোইগু ও গেরাসিমভ দায়ী, তা বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এসব হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীদের অবশ্যই জানা উচিত-ন্যায়বিচার একদিন করা হবেই। আর আমরা আশা করি, তাদের কারাগারে দেখতে পাবো।’

২০১২ সাল থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সের্গেই শোইগুকে গত মাসে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি রুশ নিরাপত্তা কাউন্সিলের একজন সচিব। এ পরোয়ানা জারির পর রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিল বলেছে, মস্কোর বিরুদ্ধে যে ‘হাইব্রিড’ যুদ্ধ চলছে, শোইগুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা তারই অংশ।

এর আগে গত বছরের মার্চে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। তবে ওই পরোয়ানা খাতা-কলমেই থেকে গেছে, কারণ পরোয়ানা জারি হওয়া ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের এখতিয়ার নেই এই আদালতের। এছাড়া রাশিয়া আইসিসির সদস্য দেশ নয়। আদালতটি শুধু সদস্য দেশগুলোকে নিয়েই বিচারকাজ চালাতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষ দুই রুশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট সময় : ০১:৪৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

রাশিয়ার দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তারা হলেন- সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং দেশটির সামরিক বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ। পরোয়ানা জারি করে আদালতের বিচারকেরা বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে এই দু’জন জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগভিত্তিক আদালতটি। এতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ইউক্রেনে বিভিন্ন বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য শোইগু ও গেরাসিমভ দায়ী, তা বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এসব হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীদের অবশ্যই জানা উচিত-ন্যায়বিচার একদিন করা হবেই। আর আমরা আশা করি, তাদের কারাগারে দেখতে পাবো।’

২০১২ সাল থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সের্গেই শোইগুকে গত মাসে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি রুশ নিরাপত্তা কাউন্সিলের একজন সচিব। এ পরোয়ানা জারির পর রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিল বলেছে, মস্কোর বিরুদ্ধে যে ‘হাইব্রিড’ যুদ্ধ চলছে, শোইগুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা তারই অংশ।

এর আগে গত বছরের মার্চে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। তবে ওই পরোয়ানা খাতা-কলমেই থেকে গেছে, কারণ পরোয়ানা জারি হওয়া ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের এখতিয়ার নেই এই আদালতের। এছাড়া রাশিয়া আইসিসির সদস্য দেশ নয়। আদালতটি শুধু সদস্য দেশগুলোকে নিয়েই বিচারকাজ চালাতে পারে।