ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুক্রবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামীকাল শুক্রবার। প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়ছেন ছয় প্রার্থী। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় গত মাসে ইব্রাহিম রাইসির মৃতুতে প্রেসিডেন্ট পদটি শূণ্য হয়ে যায়। এবার এই পদে প্রার্থী হওয়া ছয়জনের পাঁচজনই রক্ষণশীল, একজন সংস্কারপন্থী।

তবে এরইমধ্যে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির হোসেইন গাজিজাদেহ হাশেমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ৫৩ বছর বয়সী গাজিজাদেহ হাশেমি চরম রক্ষণশীল একজন নেতা। তিনি একজন চিকিৎসকও। রাইসি সরকারের একজন কট্টর সমর্থক ছিলেন।

রাইসির উত্তরসূরি হিসেবে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফের নাম। ৬২ বছর বয়সী মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ ইরানের একজন পরিচিত রক্ষণশীল নেতা। ২০২০ সাল থেকে দেশটির পার্লামেন্টে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। রাজধানী তেহরানের মেয়রের দায়িত্ব পালনসহ তিনি সরকারি নানা পদে ছিলেন। এরআগে ২০০৫, ২০১৩ ও ২০১৭ সালেও গালিবাফ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন। তবে শেষবার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তিনি রাইসিকে সমর্থন দেন।

৬৪ বছর বয়সী মোস্তফা পুরমোহাম্মদি এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা একমাত্র ধর্মীয় নেতা। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। রক্ষণশীল ও অভিজ্ঞ এ রাজনীতিক ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন।

আরও একজন কট্টর রক্ষণশীল প্রার্থী ৫৮ বছরের সাঈদ জালিলি। ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন তিনি। জালিলি ঘোর পশ্চিমাবিরোধী। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তিরও তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। ইরান-ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সামরিক বাহিনীতে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি একটি পা হারান। ২০১৭ সালে রাইসিকে সমর্থন দিয়ে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ান।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরেক প্রার্থী ৫৮ বছর বয়সী আলিরেজা জাকানি কট্টর রক্ষণশীল রাজনীতিক। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে তেহরানের মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ইরান-ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালে তিনি রাইসির প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এরআগে, ২০১৩ ও ২০১৭ সালে এ পদে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন তিনি।

এবারের প্রার্থীদের মধ্যে পেজেশকিয়ানই সবচেয়ে বয়স্ক এবং একমাত্র সংস্কারপন্থী প্রার্থী। ৭০ বছর বয়সী একজন হার্ট সার্জন। ২০০৮ সাল থেকে টানা উত্তরপশ্চিমের নগরী তাবরিজ থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি। ইরানের সাবেক সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। পেজেশকিয়ান বরাবর ইরানের বর্তমান শাসকদের সমালোচনা করে এসেছেন। ২০২২ সালে তেহরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার পর ইরানজুড়ে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল সে সময় রাইসি সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পেজেশকিয়ান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুক্রবার

আপডেট সময় : ১১:২২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামীকাল শুক্রবার। প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়ছেন ছয় প্রার্থী। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় গত মাসে ইব্রাহিম রাইসির মৃতুতে প্রেসিডেন্ট পদটি শূণ্য হয়ে যায়। এবার এই পদে প্রার্থী হওয়া ছয়জনের পাঁচজনই রক্ষণশীল, একজন সংস্কারপন্থী।

তবে এরইমধ্যে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির হোসেইন গাজিজাদেহ হাশেমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ৫৩ বছর বয়সী গাজিজাদেহ হাশেমি চরম রক্ষণশীল একজন নেতা। তিনি একজন চিকিৎসকও। রাইসি সরকারের একজন কট্টর সমর্থক ছিলেন।

রাইসির উত্তরসূরি হিসেবে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফের নাম। ৬২ বছর বয়সী মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ ইরানের একজন পরিচিত রক্ষণশীল নেতা। ২০২০ সাল থেকে দেশটির পার্লামেন্টে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। রাজধানী তেহরানের মেয়রের দায়িত্ব পালনসহ তিনি সরকারি নানা পদে ছিলেন। এরআগে ২০০৫, ২০১৩ ও ২০১৭ সালেও গালিবাফ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন। তবে শেষবার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তিনি রাইসিকে সমর্থন দেন।

৬৪ বছর বয়সী মোস্তফা পুরমোহাম্মদি এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা একমাত্র ধর্মীয় নেতা। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। রক্ষণশীল ও অভিজ্ঞ এ রাজনীতিক ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন।

আরও একজন কট্টর রক্ষণশীল প্রার্থী ৫৮ বছরের সাঈদ জালিলি। ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন তিনি। জালিলি ঘোর পশ্চিমাবিরোধী। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তিরও তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। ইরান-ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সামরিক বাহিনীতে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি একটি পা হারান। ২০১৭ সালে রাইসিকে সমর্থন দিয়ে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ান।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরেক প্রার্থী ৫৮ বছর বয়সী আলিরেজা জাকানি কট্টর রক্ষণশীল রাজনীতিক। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে তেহরানের মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ইরান-ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালে তিনি রাইসির প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এরআগে, ২০১৩ ও ২০১৭ সালে এ পদে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন তিনি।

এবারের প্রার্থীদের মধ্যে পেজেশকিয়ানই সবচেয়ে বয়স্ক এবং একমাত্র সংস্কারপন্থী প্রার্থী। ৭০ বছর বয়সী একজন হার্ট সার্জন। ২০০৮ সাল থেকে টানা উত্তরপশ্চিমের নগরী তাবরিজ থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি। ইরানের সাবেক সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। পেজেশকিয়ান বরাবর ইরানের বর্তমান শাসকদের সমালোচনা করে এসেছেন। ২০২২ সালে তেহরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার পর ইরানজুড়ে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল সে সময় রাইসি সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পেজেশকিয়ান।