০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ শুরু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ১২:০৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • ৩২ দেখেছেন

‘শিশু বান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’ এই প্রতিপাদ্যে আজ থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪। এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় প্রাথমিক শিক্ষা পদক পাচ্ছেন ১২৬ জন।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সমাজ উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য বৈষম্যহীন ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মূলভিত্তিই হলো প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা দিয়েই একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের শুরু। সুশিক্ষিত ও মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠনে শিক্ষাই মূল চাবিকাঠি।

‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’ উদযাপন ও ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩’ প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান রাষ্ট্র প্রধান। দেশের সব কোমলমতি শিক্ষার্থীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে শিক্ষাকে সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক ঘোষণা, প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন, ধ্বংসপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজ পুননির্মাণ ও বাজেটে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ও শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশে পাঠদান একটি আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন চৌকস প্রজন্ম গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে শিশুরা স্কুলে যেতে উৎসাহী হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবক ও স্কুল পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছি তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিদ্যালয়গুলোতে আধুনিক ও শিশুবান্ধব করে গড়ে তোলা, সকল শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা, ঝরে পড়ার হার সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং শিক্ষার্থীদের যোগ্যতাভিত্তিক শিখন-শেখানো কার্যক্রম নিশ্চিতকরণে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণ।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ শুরু

আপডেট : ১২:০৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

‘শিশু বান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’ এই প্রতিপাদ্যে আজ থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪। এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় প্রাথমিক শিক্ষা পদক পাচ্ছেন ১২৬ জন।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সমাজ উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য বৈষম্যহীন ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মূলভিত্তিই হলো প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা দিয়েই একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের শুরু। সুশিক্ষিত ও মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠনে শিক্ষাই মূল চাবিকাঠি।

‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’ উদযাপন ও ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩’ প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান রাষ্ট্র প্রধান। দেশের সব কোমলমতি শিক্ষার্থীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে শিক্ষাকে সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক ঘোষণা, প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন, ধ্বংসপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজ পুননির্মাণ ও বাজেটে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ও শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশে পাঠদান একটি আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন চৌকস প্রজন্ম গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে শিশুরা স্কুলে যেতে উৎসাহী হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবক ও স্কুল পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছি তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিদ্যালয়গুলোতে আধুনিক ও শিশুবান্ধব করে গড়ে তোলা, সকল শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করা, ঝরে পড়ার হার সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং শিক্ষার্থীদের যোগ্যতাভিত্তিক শিখন-শেখানো কার্যক্রম নিশ্চিতকরণে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণ।