পাকিস্তানে মাত্র ছয়দিনে ৫৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪১ জনই গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) মারা গেছেন। তবে তারা ঠিক কী কারণে মারা গেলেন, তা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু দেশটির দক্ষিণ অঞ্চলে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। ধারণা তরা হচ্ছে, অসহনীয় গরমে হিটস্ট্রোক জনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েক দিন দক্ষিণ পাকিস্তানে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
ইদি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা জানিয়েছে, তারা সাধারণত করাচি শহরের মর্গে প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন মানুষের মরদেহ আনা-নেয়া করেন। তবে গত ছয়দিনে তারা প্রায় ৫৬৮টি মরদেহ পরিবহন করেছেন। এদের মধ্যে শুধু মঙ্গলবারই ১৪১ জনের সংগ্রহ করেছেন।
তবে তাদের মৃত্যুর কারণ ঠিক কী, তা এখনই বলা মুশকিল বলে জানিয়েছে বিবিসি। কিন্তু করাচির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর ছাড়ানোর পরই মৃতের সংখ্যা এত বেড়েছে।
করাচির সিভিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান ডা. ইমরান সারওয়ার শেখ বলেন, গত রোববার থেকে বুধবারের মধ্যে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ২৬৭ জন তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন।
তিনি বিবিসিকে বলেন, যারা হাসপাতালে এসেছেন তাদের বেশিরভাগের বয়স ষাট বা সত্তরের ঘরে। বাকিদের কারো ৪৫, কারো বয়স বিশের ঘরে।
এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ পাকিস্তানে তীব্র গরম পড়েছে। একজন আবহাওয়াবিদ একে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে বর্ণনা করেছেন। মানুষকে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে হিটওয়েভ কেন্দ্র ও ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। তবে কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না।
সোমবার (২৪ জুন) মোহাম্মদ ইমরান নামে এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমাকে দেখেন, আমার জামাকাপড় পুরোপুরি ঘামে ভিজে গেছে।
শুধু করাচি শহর নয়, পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলও অসহনীয় গরম সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে। গত মাসে সিন্ধু প্রদেশে সর্বোচ্চ ৫২ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী হলো করাচি। শহরের এই অসহনীয় গরম আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এই সময় তাপমাত্রা কিছুটা কমার পূর্বাভাস রয়েছে।