ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতের কাছে দেশকে জিম্মি করেছে সরকার: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • / ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের কাছে বাংলাদেশকে জিম্মি করে দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের অস্তিত্ব আজ বিলুপ্ত করা হয়েছে। পৃথীবীর কোনো দেশের সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারে? সব চুক্তি ও সমঝোতা করা হয়েছে দেশের স্বার্থের বাইরে। জনগণকে বোকা বানিয়ে ভারতের কাছে দেশকে জিম্মি করে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

ভারত সফর থেকে সরকার কি এনেছে প্রশ্ন করে মির্জা ফখরুল বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে দেশে রাজনৈতিক সংকট থাকবে না। সুষ্ঠু ভোটে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তাদেরকে স্বাগত জানাবে বিএনপি।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। বিপন্ন হবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। ৬ মাস পরপর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এটাও সরকারের নতুন একটি ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দুদকের মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, পুরো সাজানো একটা মামলা ছিল। মূল লক্ষ্য ছিল তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া।

আইনকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে তাকে লড়তে হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপির এজিএমে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আদালতের রায়ের পরে কোথায় থাকব জানি না। আপনারা গণতন্ত্রের আন্দোলনে কখনো পিছপা হবেন না।

সরকার দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। প্রতিটা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে এরা (সরকার)। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ভুলণ্ঠিত, সংবাদ মাধ্যমকে গলা টিপে ধরা হয়েছে। বেআইনিভাবে দখল করা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করাই লক্ষ্য।

খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমার্থক ও এক মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা হবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে পারলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন সামগ্রিক আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে আলাদা করা যাবে না। দেশ বিপদে পড়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজিজ-বেনজীর-মতিউর সব শেখ হাসিনার প্রোডাক্ট। ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি সব দেশের স্বার্থবিরোধী। জেল ও মৃত্যু অবধারিত, এগুলোকে ভয় পেয়ে কাউকে ছাড় দেব না। ঘরে বসে থেকে মার খেতে আর রাজি না।

আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, সরকার তাদের ময়ূর সিংহাসন বজায় রাখতে সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে তাদের সিংহাসন থাকবে না। সরকার বাংলাদেশকে অন্য দেশের দাসে পরিণত করেছে। শুধু স্লোগানে আটকে না থেকে, রাজপথে নামতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের কাছে দেশকে জিম্মি করেছে সরকার: ফখরুল

আপডেট সময় : ০৪:১৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের কাছে বাংলাদেশকে জিম্মি করে দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের অস্তিত্ব আজ বিলুপ্ত করা হয়েছে। পৃথীবীর কোনো দেশের সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারে? সব চুক্তি ও সমঝোতা করা হয়েছে দেশের স্বার্থের বাইরে। জনগণকে বোকা বানিয়ে ভারতের কাছে দেশকে জিম্মি করে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

ভারত সফর থেকে সরকার কি এনেছে প্রশ্ন করে মির্জা ফখরুল বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে দেশে রাজনৈতিক সংকট থাকবে না। সুষ্ঠু ভোটে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তাদেরকে স্বাগত জানাবে বিএনপি।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। বিপন্ন হবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। ৬ মাস পরপর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এটাও সরকারের নতুন একটি ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দুদকের মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, পুরো সাজানো একটা মামলা ছিল। মূল লক্ষ্য ছিল তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া।

আইনকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে তাকে লড়তে হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপির এজিএমে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আদালতের রায়ের পরে কোথায় থাকব জানি না। আপনারা গণতন্ত্রের আন্দোলনে কখনো পিছপা হবেন না।

সরকার দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। প্রতিটা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে এরা (সরকার)। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ভুলণ্ঠিত, সংবাদ মাধ্যমকে গলা টিপে ধরা হয়েছে। বেআইনিভাবে দখল করা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করাই লক্ষ্য।

খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র সমার্থক ও এক মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা হবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে পারলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন সামগ্রিক আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে আলাদা করা যাবে না। দেশ বিপদে পড়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজিজ-বেনজীর-মতিউর সব শেখ হাসিনার প্রোডাক্ট। ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি সব দেশের স্বার্থবিরোধী। জেল ও মৃত্যু অবধারিত, এগুলোকে ভয় পেয়ে কাউকে ছাড় দেব না। ঘরে বসে থেকে মার খেতে আর রাজি না।

আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, সরকার তাদের ময়ূর সিংহাসন বজায় রাখতে সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে তাদের সিংহাসন থাকবে না। সরকার বাংলাদেশকে অন্য দেশের দাসে পরিণত করেছে। শুধু স্লোগানে আটকে না থেকে, রাজপথে নামতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।