শিক্ষা দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দেবে : প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০১:১৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
- / ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে সাক্ষরতার হার এখন ৭৮ ভাগ হয়েছে। শিক্ষা মানুষকে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দেবে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা পদক-অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের পরিচালক হবে আজকের শিশুরাই৷ প্রযুক্তি-জ্ঞানসম্পন্ন নতুন প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নেবে সমৃদ্ধির দিকে৷ আর তাই কোমলমতি শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।
সরকার প্রধান বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সবার সাথে শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে, যাতে তাদের প্রতি সবাই সহানুভূতিশীল হয়।
সুষম, জনকল্যাণমুখী, সর্বজনীন মান-সম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শিশুদের মেধা বিকাশের সুযোগ যাতে ঘটে, সেজন্যে আধুনিক কারিকুলাম তৈরি করা হয়েছে।
প্রি-প্রাইমারি এক বছরের পরিবর্তে দুই বছর করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে শিশুরা সেখানে গিয়ে খেলাধুলা করতে পারে, তাদের ভিতরে পড়ালেখার আগ্রহ তৈরি হয়।
ছোট ছেলে মেয়েরা যাতে ক্ষুধার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ঝরে না পড়ে সেজন্য ইস্কুল ফিডিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে নারী শিক্ষকের হার তিন গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রযুক্তির যুগে আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন একটি জনগোষ্ঠী তৈরির জন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কারিগর আজকের শিশুরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনকল্যাণমুখী ও সর্বজনীন মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলছে সরকার। সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব করে দেয়া হবে।
এর আগে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি।
এবারের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শিশুবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’। ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পদক নীতিমালায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কয়েকটি নতুন পদক সংযোজন করে মোট ১৮ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে নিজ সংস্কৃতির উন্নয়ন, আত্ম-উন্নয়ন, আত্ম-নির্ভরশীলতা অর্জন এবং দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজ দেশের সংস্কৃতি উন্মোচন করা।