ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বরগুনায় ভেঙে পড়েছে শতাধিক সেতু, ঝুঁকিতে আরও ২০০

বরগুনা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:২৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
  • / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরগুনার ছয় উপজেলায় ১৯ বছর ধরে সেতু সংস্কার বন্ধ রয়েছে। তাই সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়েছে শতাধিক সেতু এবং ঝুঁকিপূর্ণ আরও দুই শ সেতু। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি হলদিয়া খালে লোহার সেতু ভেঙে নয় জনের প্রাণহানির পর বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। ওই ঘটনার পর সেতু মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বরগুনার ছয়টি উপজেলায় হালকা যান চলাচল প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছিল প্রায় ৩০০টি লোহার সেতু। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এ প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায় ২০০৫ সালে। এরপর সেতুগুলো আর সংস্কার করা হয়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে জেলায় অন্তত ১০০ লোহার সেতু ভেঙে পড়েছে। বাকিগুলোও এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে প্রায়ই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সবশেষ ২২ জুন হলদিয়া খালে ঝুঁকিপূর্ণ আয়রন ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ায় প্রাণ যায় নয় জনের।

এলাকাবাসী বলছেন, ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে থাকলেই ব্রিজ নড়ে। কোনো রকমে জোড়া-তালি দিয়ে ব্রিজগুলোর কাজ চলছে। কিন্তু এগুলোর ওপর দিয়ে কোনো যান চলাচল করতে পারে না। ফলে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

তবে এসব নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি এলজিইডি কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, এসব অঞ্চলে অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে স্বল্প সময় সেতুগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নেই সংস্কারের বরাদ্দও। তবে এসব ঝুঁকিপূর্ণ সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু।

গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ব্রিজ রয়েছে, তবে তা ব্যবহারের উপযোগী নয়। এ কারণে যত দ্রুত সম্ভব এগুলো সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয়রা বলছেন, সিমেন্টের স্লিপার, হাতলসহ অন্যান্য অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে বেশ কয়েকটি সেতুর। দুয়েক জায়গায় তারা বাঁশ, গাছ ও কাঠ দিয়ে চলাচল উপযোগী করার চেষ্টা করেছে সেতুগুলো। আর যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে উদ্যোগ প্রশাসনকে নিতে হবে। সে জন্য প্রয়োজনে সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বরগুনায় ভেঙে পড়েছে শতাধিক সেতু, ঝুঁকিতে আরও ২০০

আপডেট সময় : ০২:২৯:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

বরগুনার ছয় উপজেলায় ১৯ বছর ধরে সেতু সংস্কার বন্ধ রয়েছে। তাই সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়েছে শতাধিক সেতু এবং ঝুঁকিপূর্ণ আরও দুই শ সেতু। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি হলদিয়া খালে লোহার সেতু ভেঙে নয় জনের প্রাণহানির পর বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। ওই ঘটনার পর সেতু মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বরগুনার ছয়টি উপজেলায় হালকা যান চলাচল প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছিল প্রায় ৩০০টি লোহার সেতু। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এ প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায় ২০০৫ সালে। এরপর সেতুগুলো আর সংস্কার করা হয়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে জেলায় অন্তত ১০০ লোহার সেতু ভেঙে পড়েছে। বাকিগুলোও এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে প্রায়ই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সবশেষ ২২ জুন হলদিয়া খালে ঝুঁকিপূর্ণ আয়রন ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ায় প্রাণ যায় নয় জনের।

এলাকাবাসী বলছেন, ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে থাকলেই ব্রিজ নড়ে। কোনো রকমে জোড়া-তালি দিয়ে ব্রিজগুলোর কাজ চলছে। কিন্তু এগুলোর ওপর দিয়ে কোনো যান চলাচল করতে পারে না। ফলে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

তবে এসব নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি এলজিইডি কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, এসব অঞ্চলে অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে স্বল্প সময় সেতুগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নেই সংস্কারের বরাদ্দও। তবে এসব ঝুঁকিপূর্ণ সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু।

গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ব্রিজ রয়েছে, তবে তা ব্যবহারের উপযোগী নয়। এ কারণে যত দ্রুত সম্ভব এগুলো সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয়রা বলছেন, সিমেন্টের স্লিপার, হাতলসহ অন্যান্য অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে বেশ কয়েকটি সেতুর। দুয়েক জায়গায় তারা বাঁশ, গাছ ও কাঠ দিয়ে চলাচল উপযোগী করার চেষ্টা করেছে সেতুগুলো। আর যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে উদ্যোগ প্রশাসনকে নিতে হবে। সে জন্য প্রয়োজনে সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।