ভারতের আদানি গ্রুপের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসা বন্ধ হয়ে গেছে। হঠাৎ এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। জানা যায়, দ্বিতীয় ইউনিটে কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যায়। ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছিল, কিন্তু শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে এটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ত্রুটি অনুসন্ধান করে দেখছে কেন্দ্রটি।
এর আগে ঈদের ছুটিতে আদানি কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণে যাওয়ায় বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সরবরাহ। আগামী ৫ জুলাই ইউনিটটি উৎপাদনে আসতে পারে। কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত।
কিন্তু এরই মধ্যে কারিগরি ত্রুটিতে দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন কার্যত পুরো কেন্দ্রটিই বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। কবে নাগাদ তা উৎপাদনে ফিরবে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দুজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, দ্বিতীয় ইউনিটে কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যায়। ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো হলেও গতকাল সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে এটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আদানি কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রটির ত্রুটি অনুসন্ধান করে দেখছে।
প্রসঙ্গত, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গেল বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে। এর কিছুদিন পর জুনেই ঝড়ের কারণে রহনপুরে সঞ্চালন লাইন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছিল। এরপর ত্রুটি ঠিকঠাক করলে আবার উৎপাদন শুরু হয় কেন্দ্রটির। এতে ওই সময় কয়েক দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছিল।