তথ্যের জায়গায় সততা নিশ্চিত করব : তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ১০:২১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
- / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবার আগে তথ্যের সততা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে। ভিন্ন মত থাকা সমাজের একটা সৌন্দর্য, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু যেখানে একমত হতে হবে সেটি হচ্ছে, সত্য ও সঠিক তথ্য বলতে হবে। সত্য আগে স্বীকার করতে হবে। তারপর ভিন্ন মতামত দিতে হবে। তথ্যই যদি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং এর মাধ্যমে যদি একটা চিন্তা তৈরি করা হয়-এটা ভালো, ওটা খারাপ তাহলে সেটা সমাজে কারো মঙ্গল বয়ে আনবে না। কাজেই আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে যে, আমরা তথ্যের জায়গায় সততা নিশ্চিত করবো।
আজ শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর কনভেনশন হলে পিস অ্যাম্বাসেডরস জাতীয় সম্মেলন তথ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর উদ্যোগে, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-এর সহযোগিতায় এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস এর অংশীদারত্বে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য যাচাই-বাছাই করা আমাদের দায়িত্ব। সত্য মেনে নেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি না থাকলে, রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে তথ্য বিকৃত করলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। আগে অঙ্গীকার করতে হবে যে, আমি যে রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাস করি না কেন, তথ্যের জায়গায নিশ্চিত করতে চাই আমার সততা। সেই তথ্য, যেটা সত্য। সত্য কারো পক্ষে যাবে, কারো বিপক্ষে। সত্য যেদিকেই যাবে সেটা মেনে নিতে হবে। কিন্তু এই সমাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনেক জায়গায় অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যাচার হয়। শুধু আমার রাজনৈতিক চিন্তার পক্ষে গেছে বা যে লোকটিকে আমি রাজনৈতিকভাবে অপছন্দ করি তার বিপক্ষে গেছে এজন্য যতই মিথ্যা হোক সেটা আমি আরও দশ জনকে প্রচার করি। এটি ন্যায়সঙ্গত নয়।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বাংলাদেশের প্রশ্নে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশের জন্ম এবং আজ এ দেশের এগিয়ে যাওয়া। সেই মূল জায়গায় কোন আপোষ চলবে না। বাংলাদেশের জন্ম যেখানে, যে চেতনা ধরে, সেখানে কোনও আপস চলবে না। তার বাইরে আমাদের সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের গোড়ায় গিয়ে সব দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী যে অপশক্তি, মৌলবাদী যে অপশক্তি, সেই ধরনের উগ্রবাদী কোনও অপশক্তিকে আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশে কোনও জায়গা দিতে চাই না। কারণ তারা গণতন্ত্রকে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিকে বিনষ্ট করে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অপশক্তিগুলোকে বাদ দিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রানা মো. সোহেল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।