ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাইডেনের পরিবর্তে যেভাবে প্রার্থী হতে পারেন অন্য কেউ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
  • / ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া প্রথম বিতর্কে পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি নির্বাচনী লড়াই চালিয়ে যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে বাইডেন যদি প্রার্থিতা থেকে সরেও দাঁড়ান, তাহলে তাঁর জায়গায় নতুন একজনকে নির্ধারণ করার বিষয়টি সময় সাপেক্ষ ও জটিল।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সিনিয়র ফেলো ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) সদস্য ইলেইন কামারকের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বাইডেনের বিকল্প দাঁড় করানোর পরিকল্পনা ছিল না। তিনি কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ বছর প্রার্থী হয়েছেন।

এই গ্রীষ্মের শেষের দিকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত হবেন। তাই এখনও একটি পরিবর্তন করার সময় আছে। বাইডেন মনোনীত হওয়ার আগে নিজে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এছাড়া তাঁকে অন্যরা চ্যালেঞ্জ করতে পারে। অথবা তিনি আগস্টে শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনের পরে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। এমন হলে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটিকে তার জায়গায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কাউকে নির্বাচন করতে হবে।

বাইডেন পদত্যাগ করলে কী হবে? এই প্রশ্নে এই বিশ্লেষক বলেন, বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য এবং অঞ্চলগুলোতে প্রাইমারি নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রায় ৪ হাজার ডেমোক্রেটিক প্রতিনিধি সংগ্রহ করতে গত কয়েক মাস কাটিয়েছেন। এই প্রতিনিধিরা সাধারণত তাঁকে ভোট দেবেন। কিন্তু এ জন্য তাঁরা বাধ্য না। তাঁরা চাইলে অন্য প্রার্থীদেরও ভোট দিতে পারবেন। যদি বাইডেন তাঁর প্রতিনিধিদের মুক্ত করে দেন তবে মনোনীত হওয়ার জন্য অন্যান্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতে পারে।

বাইডেনের পরিবর্তে কে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন এমন প্রশ্নে ইলেইন কামারক বলেন, বেশ কিছু প্রার্থী আসতে পারেন। এখানে কোনো সুস্পষ্ট সংখ্যা নেই। ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস প্রায় নিশ্চিতভাবেই তালিকার শীর্ষে থাকবেন। মার্কিন সংবিধানেও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বা অক্ষম হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন। তবে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে সেখানে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নিউজম, মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার, কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার এবং ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজকারকে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা যেতে পারে।

একজন প্রার্থী কীভাবে মনোনীত করা হবে? এ নিয়ে কামারকে বলেন, ডেমোক্র্যাটিক হেভিওয়েটদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মনোনীত হওয়ার জন্য প্রার্থীদের ৬০০ জন কনভেনশন প্রতিনিধির স্বাক্ষর নিতে হবে। ২০২৪ সালে প্রায় ৪ হাজার ৭৬২ জন থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে একটি ব্রোকার কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে যেখানে সব প্রতিনিধিরা ফ্রি এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে এবং দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থী নির্বাচন করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাইডেনের পরিবর্তে যেভাবে প্রার্থী হতে পারেন অন্য কেউ

আপডেট সময় : ০২:৩৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া প্রথম বিতর্কে পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি নির্বাচনী লড়াই চালিয়ে যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে বাইডেন যদি প্রার্থিতা থেকে সরেও দাঁড়ান, তাহলে তাঁর জায়গায় নতুন একজনকে নির্ধারণ করার বিষয়টি সময় সাপেক্ষ ও জটিল।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সিনিয়র ফেলো ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) সদস্য ইলেইন কামারকের সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স। তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বাইডেনের বিকল্প দাঁড় করানোর পরিকল্পনা ছিল না। তিনি কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ বছর প্রার্থী হয়েছেন।

এই গ্রীষ্মের শেষের দিকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত হবেন। তাই এখনও একটি পরিবর্তন করার সময় আছে। বাইডেন মনোনীত হওয়ার আগে নিজে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এছাড়া তাঁকে অন্যরা চ্যালেঞ্জ করতে পারে। অথবা তিনি আগস্টে শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনের পরে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। এমন হলে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটিকে তার জায়গায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কাউকে নির্বাচন করতে হবে।

বাইডেন পদত্যাগ করলে কী হবে? এই প্রশ্নে এই বিশ্লেষক বলেন, বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য এবং অঞ্চলগুলোতে প্রাইমারি নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রায় ৪ হাজার ডেমোক্রেটিক প্রতিনিধি সংগ্রহ করতে গত কয়েক মাস কাটিয়েছেন। এই প্রতিনিধিরা সাধারণত তাঁকে ভোট দেবেন। কিন্তু এ জন্য তাঁরা বাধ্য না। তাঁরা চাইলে অন্য প্রার্থীদেরও ভোট দিতে পারবেন। যদি বাইডেন তাঁর প্রতিনিধিদের মুক্ত করে দেন তবে মনোনীত হওয়ার জন্য অন্যান্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতে পারে।

বাইডেনের পরিবর্তে কে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন এমন প্রশ্নে ইলেইন কামারক বলেন, বেশ কিছু প্রার্থী আসতে পারেন। এখানে কোনো সুস্পষ্ট সংখ্যা নেই। ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস প্রায় নিশ্চিতভাবেই তালিকার শীর্ষে থাকবেন। মার্কিন সংবিধানেও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বা অক্ষম হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন। তবে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে সেখানে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নিউজম, মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার, কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার এবং ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজকারকে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা যেতে পারে।

একজন প্রার্থী কীভাবে মনোনীত করা হবে? এ নিয়ে কামারকে বলেন, ডেমোক্র্যাটিক হেভিওয়েটদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মনোনীত হওয়ার জন্য প্রার্থীদের ৬০০ জন কনভেনশন প্রতিনিধির স্বাক্ষর নিতে হবে। ২০২৪ সালে প্রায় ৪ হাজার ৭৬২ জন থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে একটি ব্রোকার কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে যেখানে সব প্রতিনিধিরা ফ্রি এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে এবং দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থী নির্বাচন করবে।