প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি মানুষের সক্ষমতা বাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে চলমান বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের সক্ষমতা যখন কম ছিল, তখন কম বিদ্যুৎ হলেও চলত। এখন সক্ষমতা বেড়েছে মানুষের, তাই বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে। এ অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বিদ্যুতে, এটা সামনের দিনগুলোতে আর দেওয়া হবে না।
এ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন ঘিরে বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে সংসদ নেতা বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে অনেক কথা হয়। কিন্তু বিশেষ আইনটা যদি না করতাম, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ না করতাম, তাহলে এত বিদ্যুৎ পেতাম কোথায়? যারা সমালোচনা করেন এটা নিয়ে- তারা হয় অজ্ঞানতায় করেন, নয়ত ইচ্ছাকৃতভাবে। কিছুদিনের মধ্যে পরমাণু বিদ্যুৎ চালু হবে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুলশান-বনানী-বারিধারায় অন্তত দুই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই বিদ্যুৎ গ্রামে সরবরাহের নির্দেশ দিচ্ছি আমরা। গ্রামে যাতে কোনোভাবেই লোডশেডিং না হয়।
এ সময় ২০১৪ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এরশাদ সাহেবের সময় উত্তরবঙ্গে যে মঙ্গা হতো, তা কিন্তু এখন আর নেই। সেসব এলাকায় মানুষের দুর্দশা আমাদের চোখে দেখা। এখন আর সেই অবস্থা নেই। এমনকি রংপুরের মানুষ এখন চারবেলাও খেতে পায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার কখনো ভুলে যায় না, এ জন্যই দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আছে বলে দাবি করেন তিনি।