ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের দুঃসহ স্মৃতি ভুলে ১৩ বছরের শিরোপা আক্ষেপ কাটিয়ে বিশ্বের তৃতীয় দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে ২০০৭ সালের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন তারা। ভারত ছাড়াও দুটি করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের। শনিবার (২৯ জুন) মেগা ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রিজটাউনের কিংসটন ওভালে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করে বিরাট কোহলির ৫৯ বলে ৭৬, অক্ষর প্যাটেলের ৩১ বলে ৪৭ ও শিভম দুবের ১৬ বলে ২৭ রানের কল্যাণে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে হেনরিক ক্লাসেনের ২৭ বলে ৫২ রানের তাণ্ডবীয় ইনিংস সত্ত্বেও ভারতীয় বোলারদের তোপে পড়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করতে সক্ষম হয় প্রোটিয়ারা। এতে করে ৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।
বার্বাডোজে উৎসবের মঞ্চ আগেই সাজিয়ে রেখেছিল ভারত। ১৭৬ রানের শক্ত সংগ্রহ তারা দাঁড় করায় ফাইনালের মঞ্চে। বল হাতে শুরুটাও ছিল চ্যাম্পিয়নদের মতোই। মাঝে কুইন্টন ডি কক আর হেনরিখ ক্লাসেন দাঁড়ালেন দেয়াল হয়ে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়টাও ছিল সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার নামের পাশে যে লেগে আছে চোকার্স তকমা। ২৪ বলে ২৬ রানের সমীকরণটাই আর মেলানো হয়নি তাদের। আর্শদ্বীপ সিং আর জাসপ্রিত বুমরাহ একের পর এক ডট ডেলিভারিতে চাপ বাড়িয়েছেন। সঙ্গী ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। স্নায়ুচাপের লড়াইয়ে জয় হলো ভারতেরই।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার ওই ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি লাইনে মিলারকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরালেন সুর্যকুমার যাদব। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ শেষ হয়ে গেল সেখানেই। শেষ ওভারে এলো ৮ রান। ব্যর্থ হলো হেনরিখ ক্লাসেনের ২৭ বলে ৫৪ রানের দুর্দান্ত সেই ইনিংস। ৭ রানের জয়ে বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন ভারত।