ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে তালিকার ছয়ে অবস্থান করা পর্তুগাল ও তালিকার ৫৭তম স্থানে থাকা স্লোভেনিয়ার মধ্যকার খেলা। ম্যাচটিতে পর্তুগালের এগিয়ে থাকার কথা থাকলেও সেই হিসাব একদমই তুচ্ছ হয়েছে স্লোভেনিয়া দলের কাছে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ম্যাচ ড্র করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের দলকে টাইব্রেকারে নিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলেছে স্লোভেনিয়া।

ফ্রাঙ্কফুট অ্যারেনায় হওয়া ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। তারপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু তাতেও কোনো সুবিধা করতে পারেনি পর্তুগাল। পুরো ১২০ মিনিটের ম্যাচে রোনালদো কিংবা তার সতীর্থদের কাউকেই গোল করতে দেয়নি স্লোভেনিয়া। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে পেনাল্টি পেলে তাতে রোনালদো শট করলে সেটি রুখে দেয় প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক জান ওবলাক। ফলে চূড়ান্ত ফলের জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

তবে টাইব্রেকারে আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি স্লোভেনিয়া। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ স্লোভেনিয়া দলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যায় পর্তুগাল।

অতিরিক্ত সময়ের খেলায় পেনাল্টি পেয়েছিল পর্তুগাল। সর্বশেষ ১৩ পেনাল্টিতেই গোল করা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো স্লোভেনিয়া গোলকিপার ইয়ান ওবলাককে ফাঁকি দিতে পারেননি। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পেনাল্টি মিস করে নিজেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না রোনালদো।

পেনাল্টি মিস করে দু হাত দিয়ে মুখ ঢেকে শিশুর মতো কেঁদেছেন রোনালদো। সতীর্থরা তখন তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অতিরিক্ত সময়ের খেলার মাঝ বিরতিতে দলীয় স্টাফরাও রোনালদোকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। তবে কিছুতেই যেন কান্না থামছিল না তার।

অবশ্য রোনালদো এই ভুলের দায় মোচন করেছেন টাইব্রেকারে। দলের হয়ে প্রথম শট নেন তিনি। এবার আর ভুল করেননি। বল জালে জড়িয়ে সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের কাছে দুই হাত জোড় করে ক্ষমাও চান তিনি।

ম্যাচ শেষে রোনালদোর পাশে দাঁড়ালেন কোচও। পেনাল্টি কাজে লাগাতে না পারলেও টাইব্রেকারে প্রথম শট তাকে দিয়েই নেওয়াতে কোনো সংশয় ছিল না রবের্তো মার্তিনেসের মনে।

তিনি বলেন, সে আমাদের জন্য উদাহরণ। এই আবেগের প্রকাশগুলোও অসাধারণ। তার এসব (চারপাশের আলোচনা) পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই এবং সে যেমন আছে, সেজন্যই তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই, যেভাবে দলের পাশে থাকে সে…। আমি সবসময়ই নিশ্চিত ছিলাম, টাইব্রেকারে প্রথম শটটি তাকেই নিতে হবে এবং আমাদেরকে জয়ের পথ দেখাতে হবে। আমার মনে হয়, আমাদের অধিনায়ককে নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত। সে যা করছে, গোটা ড্রেসিং রুমই তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত। আমার মতে, আমাদের সবাইকে দারুণ এক শিক্ষাও সে দিয়েছে যে, প্রতিটি দিনকেই প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে জীবনের শেষ দিনের মতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল

আপডেট সময় : ১২:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে তালিকার ছয়ে অবস্থান করা পর্তুগাল ও তালিকার ৫৭তম স্থানে থাকা স্লোভেনিয়ার মধ্যকার খেলা। ম্যাচটিতে পর্তুগালের এগিয়ে থাকার কথা থাকলেও সেই হিসাব একদমই তুচ্ছ হয়েছে স্লোভেনিয়া দলের কাছে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ম্যাচ ড্র করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের দলকে টাইব্রেকারে নিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলেছে স্লোভেনিয়া।

ফ্রাঙ্কফুট অ্যারেনায় হওয়া ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। তারপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু তাতেও কোনো সুবিধা করতে পারেনি পর্তুগাল। পুরো ১২০ মিনিটের ম্যাচে রোনালদো কিংবা তার সতীর্থদের কাউকেই গোল করতে দেয়নি স্লোভেনিয়া। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে পেনাল্টি পেলে তাতে রোনালদো শট করলে সেটি রুখে দেয় প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক জান ওবলাক। ফলে চূড়ান্ত ফলের জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

তবে টাইব্রেকারে আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি স্লোভেনিয়া। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ স্লোভেনিয়া দলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যায় পর্তুগাল।

অতিরিক্ত সময়ের খেলায় পেনাল্টি পেয়েছিল পর্তুগাল। সর্বশেষ ১৩ পেনাল্টিতেই গোল করা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো স্লোভেনিয়া গোলকিপার ইয়ান ওবলাককে ফাঁকি দিতে পারেননি। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পেনাল্টি মিস করে নিজেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না রোনালদো।

পেনাল্টি মিস করে দু হাত দিয়ে মুখ ঢেকে শিশুর মতো কেঁদেছেন রোনালদো। সতীর্থরা তখন তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অতিরিক্ত সময়ের খেলার মাঝ বিরতিতে দলীয় স্টাফরাও রোনালদোকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। তবে কিছুতেই যেন কান্না থামছিল না তার।

অবশ্য রোনালদো এই ভুলের দায় মোচন করেছেন টাইব্রেকারে। দলের হয়ে প্রথম শট নেন তিনি। এবার আর ভুল করেননি। বল জালে জড়িয়ে সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের কাছে দুই হাত জোড় করে ক্ষমাও চান তিনি।

ম্যাচ শেষে রোনালদোর পাশে দাঁড়ালেন কোচও। পেনাল্টি কাজে লাগাতে না পারলেও টাইব্রেকারে প্রথম শট তাকে দিয়েই নেওয়াতে কোনো সংশয় ছিল না রবের্তো মার্তিনেসের মনে।

তিনি বলেন, সে আমাদের জন্য উদাহরণ। এই আবেগের প্রকাশগুলোও অসাধারণ। তার এসব (চারপাশের আলোচনা) পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই এবং সে যেমন আছে, সেজন্যই তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই, যেভাবে দলের পাশে থাকে সে…। আমি সবসময়ই নিশ্চিত ছিলাম, টাইব্রেকারে প্রথম শটটি তাকেই নিতে হবে এবং আমাদেরকে জয়ের পথ দেখাতে হবে। আমার মনে হয়, আমাদের অধিনায়ককে নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত। সে যা করছে, গোটা ড্রেসিং রুমই তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত। আমার মতে, আমাদের সবাইকে দারুণ এক শিক্ষাও সে দিয়েছে যে, প্রতিটি দিনকেই প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে জীবনের শেষ দিনের মতো।