ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সংকট ও চ্যালেঞ্জে শুরু নতুন অর্থবছর শুরু

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:১৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রা আর বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করে ইতিবাচক ধারা দিয়ে শুরু ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দিন। তবে মূল্যস্ফীতি, জিডিপির হার, খেলাপি ঋণ, বেসরকারি বিনিয়োগ আর শেয়ারবাজারের সূচক সংকটাপন্ন। নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ হবে স্থবিরতা থেকে ফিরিয়ে জিডিপির হারে বেসরকারি খাতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

বিদায়ী অর্থবছরের শেষে মাসে রপ্তানি আর রেমিট্যান্সের সূচক ছিলো অনেক অস্বস্তির মধ্যে স্বস্তির সূচক। নতুন অর্থবছর অর্থনৈতিক এই দুটি রুপালি রেখা ওপর নির্ভর করছে দেশের সক্ষমতার ভার। বছর শুরু হয়েছে ৮ শতাংশ সার্বিক মূল্যস্ফীতি দিয়ে। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি এখনো দুই অঙ্কের ঘরে। গত অর্থবছর থেকে ২% বেড়েছে রপ্তানি আয়।

তবে বিনিময় মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্তে হতাশ করেনি প্রবাসীরা। জুন মাসের রেকর্ড রেমিট্যান্স ছাড়িয়েছে গত তিন বছরের হিসেব নিকেশ। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই মাসে সর্বশেষ ২.৫৯ বিলিয়ন ডলার আয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে। এরপর সদ্যসমাপ্ত বছরের শেষ মাসে অর্থাৎ জুনে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২.৫৪ বিলিয়ন বা ২৫৪ কোটি ডলার। সুখবরে আছে অর্থবছরের সূচকেও। গত দুই অর্থবছর থেকে সর্বোচ্চ ছাড়িয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২৩.৯১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার।

বছরের শুরুতে রেমিট্যান্স তাক লাগালেও বিদায়ী বছরে বেসরকারি বিনিয়োগ ২৩.৫১ শতাংশ। বেসরকারি খাতে ৮২% কর্মস্থান রয়েছে, তবে এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার চাপ পড়েছে কর্মসংস্থানেও। যে খাত থেকে নতুন অর্থবছরে জিডিপির আকারে ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রাখা হয়েছে। রপ্তানি আয়ের সূচক ধারাবাহিকভাবে তিন বছর একই ধারায় প্রবহমান। তবে গত তিন অর্থবছরকে ছাড়িয়ে যাওয়া খেলাপি ঋণ ১১.১১% নিয়ে সাজানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে আর্থিক খাতে।

এদিকে ঋণের ওপর ভর করে বছরের শুরুতে রিজার্ভের ঘর ছিলো টইটুম্বুর। গ্রস রিজার্ভ ২৭.১৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৭১৫ কোটি ডলার ও নিট রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার দিয়ে শুরু হলো নতুন অর্থবছর। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে প্রথম ১১ মাসে বিদেশি ঋণ পরিশোধে খরচ হয়েছে ৩০৭ কোটি ডলার। যা ছিলো আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।

তবে গত অর্থবছরে আমদানিতে কঠোরতার কারণে ২৫ শতাংশ কম শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কম হয়। তাই রপ্তানিতে গতি আনতে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে বাধা তুলে নেয়া ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের দাবি করে আসছে ব্যবসায়ীরা।

আর্থিক সংকট/মন্দার প্রভাব ফেলেছে শেয়ার বাজারেও। অনেকটায় হতাশায় ডুবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসএক্স ১৬ শতাংশের বেশি কমে ৫ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে ছিলো অর্থবছরের শেষ দিন। ১লা জুলাই ব্যাংক হলিডে ও পুঁজিবাজারের কাজ ছিলো বন্ধ।

নিউজটি শেয়ার করুন

সংকট ও চ্যালেঞ্জে শুরু নতুন অর্থবছর শুরু

আপডেট সময় : ০২:১৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রা আর বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করে ইতিবাচক ধারা দিয়ে শুরু ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দিন। তবে মূল্যস্ফীতি, জিডিপির হার, খেলাপি ঋণ, বেসরকারি বিনিয়োগ আর শেয়ারবাজারের সূচক সংকটাপন্ন। নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ হবে স্থবিরতা থেকে ফিরিয়ে জিডিপির হারে বেসরকারি খাতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

বিদায়ী অর্থবছরের শেষে মাসে রপ্তানি আর রেমিট্যান্সের সূচক ছিলো অনেক অস্বস্তির মধ্যে স্বস্তির সূচক। নতুন অর্থবছর অর্থনৈতিক এই দুটি রুপালি রেখা ওপর নির্ভর করছে দেশের সক্ষমতার ভার। বছর শুরু হয়েছে ৮ শতাংশ সার্বিক মূল্যস্ফীতি দিয়ে। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি এখনো দুই অঙ্কের ঘরে। গত অর্থবছর থেকে ২% বেড়েছে রপ্তানি আয়।

তবে বিনিময় মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্তে হতাশ করেনি প্রবাসীরা। জুন মাসের রেকর্ড রেমিট্যান্স ছাড়িয়েছে গত তিন বছরের হিসেব নিকেশ। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই মাসে সর্বশেষ ২.৫৯ বিলিয়ন ডলার আয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে। এরপর সদ্যসমাপ্ত বছরের শেষ মাসে অর্থাৎ জুনে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২.৫৪ বিলিয়ন বা ২৫৪ কোটি ডলার। সুখবরে আছে অর্থবছরের সূচকেও। গত দুই অর্থবছর থেকে সর্বোচ্চ ছাড়িয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২৩.৯১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার।

বছরের শুরুতে রেমিট্যান্স তাক লাগালেও বিদায়ী বছরে বেসরকারি বিনিয়োগ ২৩.৫১ শতাংশ। বেসরকারি খাতে ৮২% কর্মস্থান রয়েছে, তবে এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার চাপ পড়েছে কর্মসংস্থানেও। যে খাত থেকে নতুন অর্থবছরে জিডিপির আকারে ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রাখা হয়েছে। রপ্তানি আয়ের সূচক ধারাবাহিকভাবে তিন বছর একই ধারায় প্রবহমান। তবে গত তিন অর্থবছরকে ছাড়িয়ে যাওয়া খেলাপি ঋণ ১১.১১% নিয়ে সাজানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে আর্থিক খাতে।

এদিকে ঋণের ওপর ভর করে বছরের শুরুতে রিজার্ভের ঘর ছিলো টইটুম্বুর। গ্রস রিজার্ভ ২৭.১৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৭১৫ কোটি ডলার ও নিট রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার দিয়ে শুরু হলো নতুন অর্থবছর। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে প্রথম ১১ মাসে বিদেশি ঋণ পরিশোধে খরচ হয়েছে ৩০৭ কোটি ডলার। যা ছিলো আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।

তবে গত অর্থবছরে আমদানিতে কঠোরতার কারণে ২৫ শতাংশ কম শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কম হয়। তাই রপ্তানিতে গতি আনতে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে বাধা তুলে নেয়া ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের দাবি করে আসছে ব্যবসায়ীরা।

আর্থিক সংকট/মন্দার প্রভাব ফেলেছে শেয়ার বাজারেও। অনেকটায় হতাশায় ডুবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসএক্স ১৬ শতাংশের বেশি কমে ৫ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে ছিলো অর্থবছরের শেষ দিন। ১লা জুলাই ব্যাংক হলিডে ও পুঁজিবাজারের কাজ ছিলো বন্ধ।