ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডেঙ্গু আক্রান্তের দুই-তৃতীয়াংশই ঢাকার বাইরের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৮৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টানা বৃষ্টির পরও ঢাকায় এডিস মশার উপদ্রব কিছুটা কম থাকলেও ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি ভিন্ন। জানুয়ারি থেকে পহেলা জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ঢাকার বাইরের। অথচ গেলবছর এই সময় ঢাকায় আক্রান্ত রোগী ছিল প্রায় তিনগুণ।

চলতি বছরের পহেলা জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে আক্রান্ত ১ হাজার ৩২৮ জন। অথচ ঢাকার বাইরে এই সময়ে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৭৪ জন।

গত বছর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু রোগীর আধিক্য ছিল রাজধানীতে। তবে ধীরে ধীরে সেই দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করেছে। এবার পহেলা জানুয়ারি থেকে পহেলা জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে দুই তৃতীয়ংশই ঢাকার বাইরের রোগী।

ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন বলেন, ‘কোনো খাবার খাচ্ছে না। পেটে ব্যথা আছে, জ্বর আপডাউন করছে।’

আরেকজন বলেন, ‘সারা শরীরে ব্যথা ছিল এখন ব্যথা নেই কিন্তু জ্বর আছে। আমি এসেছি শরীয়তপুর জেলা থেকে।’

এদিকে ২০২৩ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে পহেলা জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ২৪৮ জন। যার মধ্যে রাজধানীর রোগী ছিল ৬ হাজারের বেশি এবং ঢাকার বাইরের রোগী ছিল প্রায় ২ হাজার। অর্থাৎ একই সময় ঢাকায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ঢাকার বাইরের প্রায় তিন গুণ।

ডিএসসিসি প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ‘গত বছরে জুন মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭১৩ জন। আর ২০২৪ এর জুন মাসে রোগীর সংখ্যা ৯৭ জন। আমরা এটাকে অবহেলা করছি না।’

রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েকদিন ধরে এডিস মশার উপদ্রব কিছুটা কম। তবে রাজধানীর বাইরের পরিস্থিতি ভিন্ন। কেন দিন দিন ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রশ্ন ছিল চিকিৎসকের কাছে।

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘গতবার শেষের দিকে ডেঙ্গু শহর থেকে গ্রামে শিফ্ট হয়েছিল। এবার রোগীর সংখ্যা মিশ্র পাচ্ছি ঢাকা ও ঢাকার বাহিরের। বিশেষ করে ঢাকার বাহিরের রোগী শেষ পর্যায়ে সেবা নিতে আসছে।’

চিকিৎসকরা বলছেন, এবার ডেঙ্গুর লক্ষণে পরিবর্তন এসেছে। ফলে অনেক সময় ডেঙ্গুর সংক্রমণ হলেও তা বোঝা যায় না। এমন অবস্থায় শরীরে অস্বাভাবিক কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই দেরি না করে হাসপাতালে আসার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডেঙ্গু আক্রান্তের দুই-তৃতীয়াংশই ঢাকার বাইরের

আপডেট সময় : ১১:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

টানা বৃষ্টির পরও ঢাকায় এডিস মশার উপদ্রব কিছুটা কম থাকলেও ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি ভিন্ন। জানুয়ারি থেকে পহেলা জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ঢাকার বাইরের। অথচ গেলবছর এই সময় ঢাকায় আক্রান্ত রোগী ছিল প্রায় তিনগুণ।

চলতি বছরের পহেলা জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে আক্রান্ত ১ হাজার ৩২৮ জন। অথচ ঢাকার বাইরে এই সময়ে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৭৪ জন।

গত বছর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু রোগীর আধিক্য ছিল রাজধানীতে। তবে ধীরে ধীরে সেই দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করেছে। এবার পহেলা জানুয়ারি থেকে পহেলা জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে দুই তৃতীয়ংশই ঢাকার বাইরের রোগী।

ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন বলেন, ‘কোনো খাবার খাচ্ছে না। পেটে ব্যথা আছে, জ্বর আপডাউন করছে।’

আরেকজন বলেন, ‘সারা শরীরে ব্যথা ছিল এখন ব্যথা নেই কিন্তু জ্বর আছে। আমি এসেছি শরীয়তপুর জেলা থেকে।’

এদিকে ২০২৩ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে পহেলা জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ২৪৮ জন। যার মধ্যে রাজধানীর রোগী ছিল ৬ হাজারের বেশি এবং ঢাকার বাইরের রোগী ছিল প্রায় ২ হাজার। অর্থাৎ একই সময় ঢাকায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ঢাকার বাইরের প্রায় তিন গুণ।

ডিএসসিসি প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ‘গত বছরে জুন মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭১৩ জন। আর ২০২৪ এর জুন মাসে রোগীর সংখ্যা ৯৭ জন। আমরা এটাকে অবহেলা করছি না।’

রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েকদিন ধরে এডিস মশার উপদ্রব কিছুটা কম। তবে রাজধানীর বাইরের পরিস্থিতি ভিন্ন। কেন দিন দিন ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রশ্ন ছিল চিকিৎসকের কাছে।

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘গতবার শেষের দিকে ডেঙ্গু শহর থেকে গ্রামে শিফ্ট হয়েছিল। এবার রোগীর সংখ্যা মিশ্র পাচ্ছি ঢাকা ও ঢাকার বাহিরের। বিশেষ করে ঢাকার বাহিরের রোগী শেষ পর্যায়ে সেবা নিতে আসছে।’

চিকিৎসকরা বলছেন, এবার ডেঙ্গুর লক্ষণে পরিবর্তন এসেছে। ফলে অনেক সময় ডেঙ্গুর সংক্রমণ হলেও তা বোঝা যায় না। এমন অবস্থায় শরীরে অস্বাভাবিক কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই দেরি না করে হাসপাতালে আসার পরামর্শ চিকিৎসকদের।