ঢাকা ১১:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষাই হবে চ্যালেঞ্জ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৩৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষাই হবে চ্যালেঞ্জ
অনলাইন ডেস্ক
আগামী ৮ জুলাই চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছৈন, এই সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। পাশাপাশি আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘোষণাও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরে কূটনীতিতে ভারসাম্য রক্ষা করাই হবে ঢাকার মূল চ্যালেঞ্জ। অবশ্য পররাষ্ট্র সচিবের দাবি, ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না।

সম্প্রতি দিল্লি সফর করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তিনি যাচ্ছেন বেইজিং। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর এটিই তাঁর প্রথম চীন সফর।

তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে চীন-ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দর কষাকষি চলছে। ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক নিয়ে আমেরিকার সাথেও আছে অস্বস্তি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীন সফরে প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয় কিভাবে মোকাবিলা করেন সেটাই দেখার বিষয়। কারণ এর ওপরই নির্ভর করছে ভূ–রাজনীতির ভারসাম্য।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘চীনা নেতৃত্বকে, আমি মনে করি যেটা তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) কনভিন্স করতে হবে যে, দুটো দেশের সাথে সম্পর্কের কোনো সংঘাত নেই। কারণ দুটো দেশের (চীন–ভারত) মধ্যে সংঘাত আছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘চীনের সাথে আমাদের বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি, ভলিউমের দিক থেকে এবং এরপরেই ভারত অবস্থান করছে। সুতরাং এই দুটো দেশের সাথে সব সময় আমাদের ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে।’

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে শি জিনপিং ও শেখ হাসিনার বৈঠকে। এর মধ্যে রয়েছে, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, সামরিক সহযোগিতা ও ব্রিকসে ঢুকতে চীনের সমর্থন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বেশ কিছু এমওইউ সাইন করার বিষয় আছে। কিছু অ্যানাউন্সমেন্টও আসবে। এখন এটার ফাইনাল কাজগুলো চলছে। চীনাদের সাথেও আমাদের কথাবার্তা চলছে। আমরা আশা করছি, এটা একটা ফলপ্রসু সফর হবে।’

তবে তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কোনো আলোচনা হবে কি না তা চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষাই হবে চ্যালেঞ্জ

আপডেট সময় : ১০:৩১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষাই হবে চ্যালেঞ্জ
অনলাইন ডেস্ক
আগামী ৮ জুলাই চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছৈন, এই সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। পাশাপাশি আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘোষণাও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরে কূটনীতিতে ভারসাম্য রক্ষা করাই হবে ঢাকার মূল চ্যালেঞ্জ। অবশ্য পররাষ্ট্র সচিবের দাবি, ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না।

সম্প্রতি দিল্লি সফর করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তিনি যাচ্ছেন বেইজিং। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর এটিই তাঁর প্রথম চীন সফর।

তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে চীন-ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দর কষাকষি চলছে। ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক নিয়ে আমেরিকার সাথেও আছে অস্বস্তি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীন সফরে প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয় কিভাবে মোকাবিলা করেন সেটাই দেখার বিষয়। কারণ এর ওপরই নির্ভর করছে ভূ–রাজনীতির ভারসাম্য।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘চীনা নেতৃত্বকে, আমি মনে করি যেটা তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) কনভিন্স করতে হবে যে, দুটো দেশের সাথে সম্পর্কের কোনো সংঘাত নেই। কারণ দুটো দেশের (চীন–ভারত) মধ্যে সংঘাত আছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘চীনের সাথে আমাদের বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি, ভলিউমের দিক থেকে এবং এরপরেই ভারত অবস্থান করছে। সুতরাং এই দুটো দেশের সাথে সব সময় আমাদের ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে।’

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে শি জিনপিং ও শেখ হাসিনার বৈঠকে। এর মধ্যে রয়েছে, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, সামরিক সহযোগিতা ও ব্রিকসে ঢুকতে চীনের সমর্থন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বেশ কিছু এমওইউ সাইন করার বিষয় আছে। কিছু অ্যানাউন্সমেন্টও আসবে। এখন এটার ফাইনাল কাজগুলো চলছে। চীনাদের সাথেও আমাদের কথাবার্তা চলছে। আমরা আশা করছি, এটা একটা ফলপ্রসু সফর হবে।’

তবে তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কোনো আলোচনা হবে কি না তা চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।