মালিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৪০
- আপডেট সময় : ১০:১২:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
- / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। গ্রামের মানুষের ওপর চালানো এই হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন।
আফ্রিকার এই দেশটির মধ্যাঞ্চলে এই হামলার ঘটনা ঘটে এবং এই অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বহু বছর ধরে সক্রিয় রয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহে জর্জরিত মধ্য মালির একটি গ্রামে অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে মঙ্গলবার দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সোমবার মোপ্তি অঞ্চলের ডিজিগুইবোম্বো গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত মালির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি অঞ্চলের মধ্যে এই এলাকাটিও রয়েছে যেখানে আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে যুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয় রয়েছে।
ব্যাঙ্কাসের মেয়র মৌলেয়ে গুইন্দো বলেছেন, অত্যন্ত গুরুতর আক্রমণ হয়েছে, সশস্ত্র লোকেরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে এবং লোকজনকে গুলি করতে শুরু করে। তিনি মৃতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলতে সক্ষম হননি, তবে দুই স্থানীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এটি ছিল গণহত্যা, হামলার আগে সন্ত্রাসীরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে, সেখানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল… হামলার ঘটনায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, কিছু লোক পালিয়ে যেতেও সক্ষম হয়, কিন্তু অনেককে হত্যা করা হয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই পুরুষ।’
মালির কর্মকর্তারা অবশ্য হামলাকারীদের শনাক্ত করেননি এবং কোনো গোষ্ঠী এখনও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। এছাড়া এ বিষয়ে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ দেশ মালি খুবই দরিদ্র। এছাড়া সাহেল অঞ্চলজুড়ে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যে সংঘাত চলছে মালি তার উপকেন্দ্র। বছরের পর বছর ধরে দেশটিতে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে হাজার হাজার সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্ত্যুচুত হয়েছেন।
প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারেও এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতা বাড়তে থাকায় মালিতে ২০২০ ও ২০২১ সালে পরপর দুটি অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এছাড়া এই নিরাপত্তাহীনতাই বুরকিনা ফাসোতে এবং নাইজারেও অভ্যুত্থান ঘটাতে সাহায্য করেছে।