দেশে নতুন জুয়েলারি কারখানা স্থাপন ও পুরাতন কারখানাগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন ও রপ্তানিমুখী খাত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামীকাল ৪ জুলাই শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ (আইজেএমইবি) ২০২৪।
দেশের ঐতিহ্যবাহী ও পণ্যভিত্তিক সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেস যৌথভাবে আয়োজিত এই প্রর্দশনীর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘গহনায় হোক প্রযুক্তির ছোঁয়া’।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা’র (আইসিসিবি) হল- ২, পুষ্পগুচ্ছে এই বিটুবি প্রর্দশনী চলবে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত প্রর্দশনীটি ব্যবসায়ী দর্শনার্থীদের জন্য উম্মুক্ত।
বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের সঙ্গে এগিয়ে যেতে দেশের জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়ন সবার আগে জরুরি। সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে নতুন বিনিয়োগকারিদের নীতি সহায়তা দিতে হবে।’
এই শিল্পে নতুন প্রযুক্তি সংযোজনে উদ্যোক্তাদের পাশে সহায়তার হাত নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়ন হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়বে বলে জানান তিনি।
বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ (আইজেএমইবি) ২০২৪ দেশীয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
বিশ্বব্যাপি প্রতিযোগিতা করতে হলে অবশ্যই আমাদের নতুন নতুন ডিজাইন করতে হবে। স্বর্ণ রপ্তানি করতে হলে আমাদের প্রযুক্তিকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দেশে যতবেশি কারখানা তৈরি হবে, ততো বেশি বিকাশিত হবে জুয়েলারি শিল্প বলে জানান তিনি।
এই প্রর্দশনীর আয়োজন সহযোগি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেস’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রান্তি নাগভেকার বলেন, 'সৌদি আরব, দুবাই, ভারতের পর বাংলাদেশে আমরা এই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ (আইজেএমইবি) ২০২৪ আয়োজন করতে যাচ্ছি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই আমরা গিয়েছি- সেখানে বাংলাদেশের কারিগদের হাতের কাজের সুনাম পেয়েছি। এই কারিগরদের হাতে যদি মেশিন যুক্ত হয়, তাহলে বিশ্বজয় করবে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প।'
প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ (আইজেএমইবি) ২০২৪’ এ অংশ নিচ্ছে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রায় ১০ দেশের প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান।
এরমধ্যে অংশ নিচ্ছে ভারতের ৬ টি প্রতিষ্ঠান-তিশ্য সিএনসি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, নিও ইন্সট্রমেন্ট, সোলাংকি মেশিনারিজ ওয়ার্কস, ইরা কর্পোরেশন, কোয়ান্টাম ইকুইপমেন্ট ও অ্যাকজেট সলিউশন, প্যাসিও ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেড।
ইতালির ২টি প্রতিষ্ঠান জেটিই ও ফাষ্টি, তুরস্কের ২টি প্রতিষ্ঠান ওটেক ও গুভেনিস, জার্মানির ফিশার, চীনের ডু ইট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড, বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে ৫টি প্রতিষ্ঠান ড্রিমজ ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজী, রাজঐশ্বরী, এক্সপার্ট ইন্সট্রুমেন্ট, ট্রাস্ট ইন্সট্রুমেন্ট বাংলাদেশ ও র্যার্টস বিডি।