সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার টানা চতুর্থদিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন। ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর সাথে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক সরকারের সাথে আলোচনায় প্রস্তুত জানিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
নতুন পেনশন ব্যবস্থা প্রত্যাহার, শিক্ষকদের বেতনে সুপার গ্রেড প্রদান ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে শিক্ষকদের টানা আন্দোলন গড়ালো চতুর্থ দিনে। বৃহস্পতিবারও কাজে অংশ না নিয়ে আলাদাভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা ও অ্যাকাডেমিক সকল কার্যক্রম।
বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে কর্মবিরতিতে থাকা শিক্ষকেরা। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক হবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে, যে কোনো সময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতারা।
ঢাকার বাইরে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে কর্মবিরতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এময়, সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়ে অর্ন্তভুক্তি চান না বলে জানান শিক্ষক নেতারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় তারা।
খুলনার তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থদিনের মতো কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। নতুন পেনশন স্কিমকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।