ব্রিটেনে লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ জয়, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন স্টারমার
- আপডেট সময় : ০৩:২২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
- / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে ফল ঘোষণা চলছে। ইতোমধ্যেই এই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিশ্চিত করেছে বিরোধী লেবার পার্টি। অন্যদিকে নির্বাচনে ভরাডু্বি হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টির।
যদিও নির্বাচনে কনজারভেটিভদের ‘ঐতিহাসিক পরাজয়’ হতে চলেছে বলে আগেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল বুথ ফেরত সমীক্ষায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বামপন্থি লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার।
শুক্রবার (৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ফল গণনা শেষে ৬৫০ আসনের হাউস অব কমেন্সে ৩২৬টিরও বেশি সিট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছে লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাক পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ঋষি এরই মধ্যে স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে হোলবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাসের আসন থেকে জয় পাওয়ার পর লেবার নেতা স্টারমার বলেন, ‘এখান থেকেই পরিবর্তনের শুরু।’
এদিকে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির ভূমিধস জয়ের অর্থ হচ্ছে স্যার কিয়ার স্টারমার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। নিজের আসনে জয়ের পর স্টারমার বলেছেন, ‘পরিবর্তনের সূচনা হলো এখান থেকেই.. এটা আমাদের জন্য দেওয়ার সময়’।
এছাড়া লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিনও নিজের আসনে জয় পেয়েছেন। তবে জর্জ গ্যালাওয়ে নিজের আসনে হেরে গেছেন। রিফর্ম ইউকে দলের নেতা নাইজেল ফারাজ প্রথম বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে ২০১০ সালের পর আবারও ডাউনিং স্ট্রীটে একজন লেবার প্রধানমন্ত্রী আসতে চলেছেন। অন্যদিকে কনজারভেটিভদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে লড়াই হবে কারণ ঋষি সুনাক নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে মনে হচ্ছে।
কনজারভেটিভ অর্থাৎ টোরিরা লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে পার্টির দিক থেকেও চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। কারণ এই দল দুটি আগের চেয়ে বেশী আসন পাচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে।
ফল ঘোষণার পর এখন লেবার পার্টিকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। সেক্ষেত্রে শুক্রবারই রাজার কাছে পদত্যাগ জমা দিতে পারেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
আগামী ৯ জুলাই পার্লামেন্টে শপথ নেবেন নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতারা। এরপর নির্বাচিত হবেন নতুন স্পিকার। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পার্লামেন্টের অধিবেশন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ( ৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন শুরু হয়। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসনে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় (বাংলাদেশি সময় দুপুর ১২টা) শুরু হয় ভোটগ্রহণ, যা চলে টানা রাত ১০টা (বাংলাদেশি সময় রাত ৩টা) পর্যন্ত।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যেকোনো দলকে এককভাবে ৩২৬টি আসনে জয় পেতে হতো। এবারের নির্বাচনে সেই মাইলফলক অতিক্রম করলো লেবার পার্টি।