ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মেসি আর আর্জেন্টিনাকে বাঁচিয়ে দিলেন মার্তিনেস

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মেসি গেলেন টাইব্রেকারের প্রথম শটটি নিতে। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো এখানেও গোলকিপারের নড়াচড়ার অপেক্ষা করে শেষ মুহূর্তে করলেন চিপ। কিন্তু এবার আর বল জালে গেল না। বারে লেগে চলে গেল ওপরে।

বার, টাইব্রেকার, কোপা আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র… ২০১৬ কোপার কথাই হয়তো মনে হচ্ছিল মেসির। কিন্তু এবার যে আর্জেন্টিনার গোলপোস্টে একজন এমিলিয়ানো মার্তিনেস আছেন। তিনিই উদ্ধার করলেন মেসিকে। আর্জেন্টিনাকে।

টাইব্রেকারে ইকুয়েডরের প্রথম দুই শটই ঠেকিয়ে দিলেন, তাতেই তৈরি হয় আর্জেন্টিনার জয়ের পথ। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ পর্যন্ত ইকুয়েডরকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা।

কোপা আমেরিকায় এর আগে আর্জেন্টিনাকে কখনোই হারাতে পারেনি ইকুয়েডর। হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে সে ইতিহাস বদলে দিতে আজ ম্যাচের শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেল ফেলিক্স সানচেসের শিষ্যরা। কিন্তু তাতেও ভাগ্য বদল হয়নি। লিসান্দ্রো মার্তিনেসের গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলেও ম্যাচের শেষ দিকে সমতা ফেরায় ইকুয়েডর। এরপর টাইেব্রকার নাটকীয়তায় এমিলিয়ানো মার্তিনেসের বীরত্বে টুর্নামেন্ট ইতিহাসে রেকর্ড ৩৭তম বারের মতো সেমিফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা।

টাইব্রেকারে মেসির ব্যর্থতার পর ইকুয়েডরের আনহেল মেনার প্রথম শটটি বাম দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। দ্বিতীয় শটে হুলিয়ান আলভারেস গোল করলেও ইকুয়েডর ব্যর্থ হয়। এবারও নায়ক মার্তিনেস। আর্জেন্টাইন গোলকিপার ডান দিকে ঝাঁপিয়ে অ্যালান মিন্ডারের শট ঠেকান।

এরপর দুই শটে আর্জেন্টিনার হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যাকঅ্যালিস্টার ও গনসালো মন্তিয়েল। ইকুয়েডর পরের দুটি শটে গোল করলেও আর্জেন্টিনার পঞ্চম শটে নিকোলাস ওতামেন্দির শট জালে জড়াতেই উল্লাস নীল আকাশী শিবিরে।

অবশ্য আজ ভাগ্য বদলানোর সুযোগ অনেকবারই পেয়েছিল ইকুয়েডর। ম্যাচ জুড়ে আর্জেন্টিনার সঙ্গে সমানে সমান লড়েছে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ৩০ নম্বরে থাকা দলটি। ম্যাচে ফেরার সহজতম সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেছে দলটি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি ইনার ভ্যালেন্সিয়া।

আজ বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও তুলনামূলক ভালো খেলেছে ইকুয়েডরই। ম্যাচের শুরুতেই আর্জেন্টিনা সমর্থকদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিল দলটি। ৬ষ্ঠ মিনিটে আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডারের ভুলের সুযোগ নিয়ে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন কাইসেদো। কিন্তু চেলসি মিডফিল্ডারের দুর্বল শট ঠেকাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি আর্জেন্টিনা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে।

ম্যাচের ১৫তম মিনিটে আবারও আর্জেন্টিনার ত্রাণকর্তা রূপে হাজির হন মার্তিনেস। বক্সের ডান দিয়ে আক্রমণে উঠলেও মার্তিনেসকে পরাস্ত করতে পারেননি ইকুয়েডরের রাইট উইংগার কেন্দ্রি পায়েস। অবশ্য ম্যাচের ১০ থেকে ১৯ মিনিট পর্যন্ত ডান প্রান্ত দিয়ে টানা আক্রমণ চালিয়ে গেছে দলটি।

আর্জেন্টিনা অবশ্য ধীরে ধীরে নিজেদের স্বরূপে ফিরতে থাকে। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে এসে প্রথমবার বড় সুযোগ তৈরি করে আলবিসেলেস্তেরা। ডান প্রান্ত থেকে ক্রস করেছিলেন নাহুয়েল মলিনা। কিন্তু এনসো ফের্নান্দেসের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

এর ৬ মিনিট পর মেসির ডিফেন্সচেরা পাস থেকে বল পেয়ে অনেকটা দৌড়ে শট নিয়েছিলেন এনসো। কিন্তু চেলসি মিডফিল্ডারের শট ব্লক করে দেয় ইকুয়েডরের ডিফেন্ডাররা। ফলে আর্জেন্টিনা কর্নার পায়। সে কর্নার থেকেই স্বস্তির গোল পায় আর্জেন্টিনা।

মেসি কর্নার থেকে অ্যালেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টার হেড করলে অনেকটা ফাঁকায় দাঁড়ানো লিসান্দ্রো মার্তিনেসের সামনে আসে। সেখান থেকে হেড করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার। ইকুয়েডর গোলকিপার বল ফিরিয়ে দিলেও ততক্ষণে বল গোললাইন অতিক্রম করে যায়।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। এনসো ফের্নান্দেস ক্রস করলেও তাতে পা লাগাতে পারেননি লওতারো মার্তিনেস। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ইকুয়েডর দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য বিস্তার করেছে। বলের দখল কিংবা আক্রমণ- দুদিকেই এগিয়ে ছিল ফেলিক্স সানেচসের দল। একের পর এক আক্রমণে আর্জেন্টিনা রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে তারা। এর ফলও পেয়ে যায় দ্রুতই। ম্যাচের ৬০ মিনিটে কর্নার ঠেকাতে গিয়ে বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করেন ডি পল। পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। কিন্তু এনার ভ্যালেন্সিয়ার শট বাম পোস্টে লেগে ফেরত আসে।

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বক্সে ক্রস করেছিলেন দে পল। প্রথমবার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু আর্জেন্টাইন অধিনায়কের দুর্বল শট সহজেই ঠেকিয়ে দেন ইকুয়েডর গোলকিপার দমিঙ্গেস।

ম্যাচের বাকি সময়ে ইকুয়েডর আক্রমণ করেছে, আর্জেন্টিনা সেটি ঠেকিয়ে গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইকুয়েডরকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি আর্জেন্টিনার রক্ষণ। ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে হেড থেকে গোল করে সমতা ফেরান কেভিন রদ্রিগেস।

পরের বাকি সময়ে আরও বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ইকুয়েডর। যোগ করা সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও পেয়েছিল। কিন্তু অ্যালান মিনডার ক্রস থেকে ঠিকঠাক হেড করতে পারেননি সেইসেদো। এতে টাইব্রেকারে যায় ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত মার্তিনেসের বীরত্বে সেমিফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মেসি আর আর্জেন্টিনাকে বাঁচিয়ে দিলেন মার্তিনেস

আপডেট সময় : ০৩:২৫:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

মেসি গেলেন টাইব্রেকারের প্রথম শটটি নিতে। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো এখানেও গোলকিপারের নড়াচড়ার অপেক্ষা করে শেষ মুহূর্তে করলেন চিপ। কিন্তু এবার আর বল জালে গেল না। বারে লেগে চলে গেল ওপরে।

বার, টাইব্রেকার, কোপা আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র… ২০১৬ কোপার কথাই হয়তো মনে হচ্ছিল মেসির। কিন্তু এবার যে আর্জেন্টিনার গোলপোস্টে একজন এমিলিয়ানো মার্তিনেস আছেন। তিনিই উদ্ধার করলেন মেসিকে। আর্জেন্টিনাকে।

টাইব্রেকারে ইকুয়েডরের প্রথম দুই শটই ঠেকিয়ে দিলেন, তাতেই তৈরি হয় আর্জেন্টিনার জয়ের পথ। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ পর্যন্ত ইকুয়েডরকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা।

কোপা আমেরিকায় এর আগে আর্জেন্টিনাকে কখনোই হারাতে পারেনি ইকুয়েডর। হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে সে ইতিহাস বদলে দিতে আজ ম্যাচের শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেল ফেলিক্স সানচেসের শিষ্যরা। কিন্তু তাতেও ভাগ্য বদল হয়নি। লিসান্দ্রো মার্তিনেসের গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলেও ম্যাচের শেষ দিকে সমতা ফেরায় ইকুয়েডর। এরপর টাইেব্রকার নাটকীয়তায় এমিলিয়ানো মার্তিনেসের বীরত্বে টুর্নামেন্ট ইতিহাসে রেকর্ড ৩৭তম বারের মতো সেমিফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা।

টাইব্রেকারে মেসির ব্যর্থতার পর ইকুয়েডরের আনহেল মেনার প্রথম শটটি বাম দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। দ্বিতীয় শটে হুলিয়ান আলভারেস গোল করলেও ইকুয়েডর ব্যর্থ হয়। এবারও নায়ক মার্তিনেস। আর্জেন্টাইন গোলকিপার ডান দিকে ঝাঁপিয়ে অ্যালান মিন্ডারের শট ঠেকান।

এরপর দুই শটে আর্জেন্টিনার হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যাকঅ্যালিস্টার ও গনসালো মন্তিয়েল। ইকুয়েডর পরের দুটি শটে গোল করলেও আর্জেন্টিনার পঞ্চম শটে নিকোলাস ওতামেন্দির শট জালে জড়াতেই উল্লাস নীল আকাশী শিবিরে।

অবশ্য আজ ভাগ্য বদলানোর সুযোগ অনেকবারই পেয়েছিল ইকুয়েডর। ম্যাচ জুড়ে আর্জেন্টিনার সঙ্গে সমানে সমান লড়েছে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ৩০ নম্বরে থাকা দলটি। ম্যাচে ফেরার সহজতম সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেছে দলটি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি ইনার ভ্যালেন্সিয়া।

আজ বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও তুলনামূলক ভালো খেলেছে ইকুয়েডরই। ম্যাচের শুরুতেই আর্জেন্টিনা সমর্থকদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিল দলটি। ৬ষ্ঠ মিনিটে আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডারের ভুলের সুযোগ নিয়ে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন কাইসেদো। কিন্তু চেলসি মিডফিল্ডারের দুর্বল শট ঠেকাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি আর্জেন্টিনা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে।

ম্যাচের ১৫তম মিনিটে আবারও আর্জেন্টিনার ত্রাণকর্তা রূপে হাজির হন মার্তিনেস। বক্সের ডান দিয়ে আক্রমণে উঠলেও মার্তিনেসকে পরাস্ত করতে পারেননি ইকুয়েডরের রাইট উইংগার কেন্দ্রি পায়েস। অবশ্য ম্যাচের ১০ থেকে ১৯ মিনিট পর্যন্ত ডান প্রান্ত দিয়ে টানা আক্রমণ চালিয়ে গেছে দলটি।

আর্জেন্টিনা অবশ্য ধীরে ধীরে নিজেদের স্বরূপে ফিরতে থাকে। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে এসে প্রথমবার বড় সুযোগ তৈরি করে আলবিসেলেস্তেরা। ডান প্রান্ত থেকে ক্রস করেছিলেন নাহুয়েল মলিনা। কিন্তু এনসো ফের্নান্দেসের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

এর ৬ মিনিট পর মেসির ডিফেন্সচেরা পাস থেকে বল পেয়ে অনেকটা দৌড়ে শট নিয়েছিলেন এনসো। কিন্তু চেলসি মিডফিল্ডারের শট ব্লক করে দেয় ইকুয়েডরের ডিফেন্ডাররা। ফলে আর্জেন্টিনা কর্নার পায়। সে কর্নার থেকেই স্বস্তির গোল পায় আর্জেন্টিনা।

মেসি কর্নার থেকে অ্যালেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টার হেড করলে অনেকটা ফাঁকায় দাঁড়ানো লিসান্দ্রো মার্তিনেসের সামনে আসে। সেখান থেকে হেড করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার। ইকুয়েডর গোলকিপার বল ফিরিয়ে দিলেও ততক্ষণে বল গোললাইন অতিক্রম করে যায়।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। এনসো ফের্নান্দেস ক্রস করলেও তাতে পা লাগাতে পারেননি লওতারো মার্তিনেস। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ইকুয়েডর দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য বিস্তার করেছে। বলের দখল কিংবা আক্রমণ- দুদিকেই এগিয়ে ছিল ফেলিক্স সানেচসের দল। একের পর এক আক্রমণে আর্জেন্টিনা রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে তারা। এর ফলও পেয়ে যায় দ্রুতই। ম্যাচের ৬০ মিনিটে কর্নার ঠেকাতে গিয়ে বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করেন ডি পল। পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। কিন্তু এনার ভ্যালেন্সিয়ার শট বাম পোস্টে লেগে ফেরত আসে।

ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বক্সে ক্রস করেছিলেন দে পল। প্রথমবার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু আর্জেন্টাইন অধিনায়কের দুর্বল শট সহজেই ঠেকিয়ে দেন ইকুয়েডর গোলকিপার দমিঙ্গেস।

ম্যাচের বাকি সময়ে ইকুয়েডর আক্রমণ করেছে, আর্জেন্টিনা সেটি ঠেকিয়ে গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইকুয়েডরকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি আর্জেন্টিনার রক্ষণ। ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে হেড থেকে গোল করে সমতা ফেরান কেভিন রদ্রিগেস।

পরের বাকি সময়ে আরও বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ইকুয়েডর। যোগ করা সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও পেয়েছিল। কিন্তু অ্যালান মিনডার ক্রস থেকে ঠিকঠাক হেড করতে পারেননি সেইসেদো। এতে টাইব্রেকারে যায় ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত মার্তিনেসের বীরত্বে সেমিফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা।