দুঃসময়ের বন্ধুদের ভুলতে পারি না: কাদের
- আপডেট সময় : ০৩:১০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
- / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনার রক্ত দিয়েছে। সেই দেশের জনগণ এবং সরকার আশ্রয় দিয়েছে। এই দুঃসময়ের বন্ধুদের আমরা ভুলে যেতে পারি না।
শনিবার (৬ই জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বেইলী রোডে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফলমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বদলে গেছে। শুধু শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সময় লাগবে। কারণ সেখানে মূল সমস্যা হচ্ছে ভূমি। এর সমাধান এত সহজ নয়। তবে শেখ হাসিনা থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয়। এই পলিসি আমরা ফলো করি। ৬৮ বছর পর আমরা সীমান্ত সমস্যার সমাধান করেছি। ভালো সম্পর্ক আছে বলেই আমারা বাংলাদেশের মতো আরেকটা বাংলাদেশ সমুদ্র সীমায় পেয়েছি। ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন আমাদের উন্নয়নের বন্ধু। সম্পর্ক ভালো থাকলে আলাপ আলোচনা করে সমাধান করা যায়। আমরা খালি হাতে আগে ফিরিনি এবারও ফিরিনি।
বান্দরবান, রাঙ্গামাটি বদলে গেছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের পাহাড়ি এলাকায় সীমান্ত সড়ক হচ্ছে। সেনাবাহিনী এই কাজটা করছে। শেখ হাসিনা থাকলে আপনাদের সব সমস্যার সমাধান হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সিঙ্গাপুরের মার্কেটে যে ফল দেখি, তার চেয়েও উন্নতমানের ফল আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে হয়। এরকম আম আমি সিঙ্গাপুরেও দেখিনি। আগে একমাত্র আনারসই সেখানে উৎপাদন হতো। বাইরে আসার অপেক্ষায় অনেক ফল পচে যেতো। কারণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে এমন সুমিষ্ট ফল ঢাকায় চলে আসে। চট্টগ্রামে চলে আসে প্রতিদিন। এটা এক বিরাট সাফল্য এবং উন্নয়নের এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, এটা স্বীকার করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সীমান্ত সমস্যা সমাধান করেছি। ভালো সম্পর্ক আছে বলে, আরেকটা সমুদ্রসীমা ভারতের কাছ থেকে পেয়েছি। সম্পর্ক ভালো বলেই ছিটমহল সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। গঙ্গা পানির চুক্তিও করেছি। সম্পর্ক ভালো থাকলে আলাপ আলোচনা করে সব সমাধান করা যায়। আমরা কখনো খালি হাতে ফিরিনি। আগেও ফিরিনি, এখনো না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য যেখানে সুবিধা পাবো, তা কেনো নিবো না। এতে অনেকের গা জ্বলে। এটা অনেকের অন্তর জ্বালা। মেরুদণ্ডহীনরা নতজানু হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কোনদিনও নতজানু হবে না।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নিজেরা আইনগতভাবে না পরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি। দলটি খালেদা জিয়াকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। বিএনপি এখন কোটা আন্দোলনের উপর ভর করবে। সরকার তো কোটা রাখেনি, এটা আদালতে মামলা চলছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের ব্যাপার।
রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে এ ফলমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ১২ জুলাই (শুক্রবার) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০ থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটানা সাত দিন চলবে এই মেলা। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।