০৯:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির পথে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৯:৪২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • ৩১ দেখেছেন

মূল্যস্ফীতি কমাতে আবারও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির পথে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিবর্তন আসছে নীতি সুদহার, রেপোর মতো মৌলিক সুদ কাঠামোয়। যদিও বিদায়ী অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক সাত তিন শতাংশ। মুদ্রানীতির সুফল পেতে আর্থিক খাত সংস্কারের পরামর্শ অর্থনীতিবিদের।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট ও নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাংক খাত। এমন পরিস্থিতিতে জুলাই-ডিসেম্বরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর খাদ্যে ১০ দশমিক ৪২ ভাগ। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতি মাসেই মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশের ওপরে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়ানো হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।

চলতি অর্থবছর সংকচনমূলক বাজেট ঘোষণা করে সরকার। আর্থিক নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখেই আগামী ৬ মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে ঋণের সুদহারের সাথে বাড়ানো হতে পারে নীতি সুদহার, রেপো ও রিভার্স রেপোর হার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, ‘যে সব ব্যাংকে সমস্যা আছে। তারল্য সংকট আছে, ডিপেজিট কমে গেছে। তাদেরকে বলা উচিত, আপনার ডিপোজিট বাড়ছে না, লোন বাড়াচ্ছেন কেন? সুতরাং তাদের লোন দেওয়ার যে টার্গেট, সেটা আস্তে আস্তে কমাতে হবে। তবে স্মল ও মিডিয়ার এন্টারপ্রাইজ এবং কৃষি এগুলোতে হাত দেওয়া যাবেনা।’

সাবেক আরেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলে সেগুলো কিন্তু খুব ফলপ্রসূ হয় না। মুদ্রানীতি যেটা করবেন… ব্যাংকিং খাতের যে দুরবস্থা, দুর্নীতি, খেলাপি ঋণ এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাজেটে কিছুই নেই এ সম্পর্কে।’

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি মে পর্যন্ত হয়েছে ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। চলতি বাজেটে বিনিয়োগ-জিডিপির অনুপাত ২৭ দশমিক ৩৪ শতাংশে উন্নীত করতে চায় সরকার। এ অবস্থায় দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে মুদ্রানীতিতে ঋণের সুদহার কমানোসহ কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘যদি ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে হয় তাহলে কিছুটা মূল্যস্ফীতি তৈরি হয়। সেটা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বলেন, বা প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট। ওভারঅল ইনভেস্টমেন্টের জন্য একটা চাপ তৈরি হয়েছে। অন্য কোথাও প্রজেক্ট লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ডিসকারেজ করা হচ্ছে।’

মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে জানুয়ারিতে সতর্ক ও সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আবারও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির পথে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আপডেট : ০৯:৪২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

মূল্যস্ফীতি কমাতে আবারও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির পথে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিবর্তন আসছে নীতি সুদহার, রেপোর মতো মৌলিক সুদ কাঠামোয়। যদিও বিদায়ী অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক সাত তিন শতাংশ। মুদ্রানীতির সুফল পেতে আর্থিক খাত সংস্কারের পরামর্শ অর্থনীতিবিদের।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট ও নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাংক খাত। এমন পরিস্থিতিতে জুলাই-ডিসেম্বরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর খাদ্যে ১০ দশমিক ৪২ ভাগ। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতি মাসেই মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশের ওপরে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়ানো হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।

চলতি অর্থবছর সংকচনমূলক বাজেট ঘোষণা করে সরকার। আর্থিক নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখেই আগামী ৬ মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে ঋণের সুদহারের সাথে বাড়ানো হতে পারে নীতি সুদহার, রেপো ও রিভার্স রেপোর হার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, ‘যে সব ব্যাংকে সমস্যা আছে। তারল্য সংকট আছে, ডিপেজিট কমে গেছে। তাদেরকে বলা উচিত, আপনার ডিপোজিট বাড়ছে না, লোন বাড়াচ্ছেন কেন? সুতরাং তাদের লোন দেওয়ার যে টার্গেট, সেটা আস্তে আস্তে কমাতে হবে। তবে স্মল ও মিডিয়ার এন্টারপ্রাইজ এবং কৃষি এগুলোতে হাত দেওয়া যাবেনা।’

সাবেক আরেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলে সেগুলো কিন্তু খুব ফলপ্রসূ হয় না। মুদ্রানীতি যেটা করবেন… ব্যাংকিং খাতের যে দুরবস্থা, দুর্নীতি, খেলাপি ঋণ এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাজেটে কিছুই নেই এ সম্পর্কে।’

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি মে পর্যন্ত হয়েছে ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। চলতি বাজেটে বিনিয়োগ-জিডিপির অনুপাত ২৭ দশমিক ৩৪ শতাংশে উন্নীত করতে চায় সরকার। এ অবস্থায় দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে মুদ্রানীতিতে ঋণের সুদহার কমানোসহ কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘যদি ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে হয় তাহলে কিছুটা মূল্যস্ফীতি তৈরি হয়। সেটা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বলেন, বা প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট। ওভারঅল ইনভেস্টমেন্টের জন্য একটা চাপ তৈরি হয়েছে। অন্য কোথাও প্রজেক্ট লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ডিসকারেজ করা হচ্ছে।’

মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে জানুয়ারিতে সতর্ক ও সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।