ব্রিটেনের নগরমন্ত্রী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হন টিউলিপ সিদ্দিক।
বিবিসির প্রতিবেদন মতে, গত ৫ জুলাই বাকিংহাম প্যালেস থেকে ফিরেই মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। লেবার এমপি অ্যাঞ্জেলা রেনারকে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে ধারাবাহিকতায় ব্রিটেনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে নির্বাচিত এমপি টিউলিপকে নগরমন্ত্রী করা হলো।
গত শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিক নির্বাচনে তিনি ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া নির্বাচনে মোট ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টিকে বিশাল ব্যবধানে হারায় টিউলিপের দল লেবার পার্টি। নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো জয় পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। জয়ের পর টিউলিপ সিদ্দিক বলেছিলেন, সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের দোয়ায় চতুর্থবারের মতো আমি নির্বাচিত হলাম। বাংলাদেশি কমিউনিটি সব সময় আমাকে সমর্থন করে। আমি তাদের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ যে, তারা এবারও আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।
মেয়ের জয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানাও। তিনি বলেছিলেন, আমার মেয়ে আবার এমপি নির্বাচিত হলো। মানুষের সেবায় সে নিষ্ঠার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করবে। শুধু নির্বাচনের সময় নয়, সারা বছরই সে এলাকায় কাজ করে। সবার কাছে দোয়া চাই, সে যেন তার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করতে পারে।
এবার নির্বাচনে টিউলিপসহ ৩৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ভোটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর মধ্যে লেবার পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন আটজন। তাদের মধ্যে টিউলিপসহ জয় পেয়েছেন চারজন। অন্য তিনজন হলেন রুশনারা আলী, রূপা হক এবং আফসানা বেগম।