সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি। এছাড়া জেলার ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীসহ চলনবিলাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়ছে।
এতে জেলার ৫টি উপজেলার সারে ৫ হাজার পরিবারের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ডপয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে মঙ্গলবার সকালে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে দেখা দিয়ে তীব্র ভাঙন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর জানান, বন্যার পানিতে জেলার ৬১০ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচ ক্ষেত ডুবে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ টি উপজেলায় বন্যাকবলিতদের মাঝে ৩৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫ লাখ টাকা এবং শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, জেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোয় জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।