০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৪১

রাজধানী কিয়েভের শিশু হাসপাতালসহ ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছে দেড় শতাধিক মানুষ। গত কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার এটিই সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় সোমবার সকালে হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামরা চালায় রাশিয়া। এতে এক চিকিৎসকসহ প্রাপ্ত বয়স্ক দুজন নিহত হয়েছে। ওমাৎজিৎ নামের ওই হাসপাতালের চিকিৎসক লেসিয়া লিসাৎজিয়া বলেন, হামলায় হাসপাতালের একটি অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, অপর একটি অংশে আগুন ধরে যায়। তার মতে, হাসপাতালটির ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘটনার পর ছবিতে দেখা গেছে, ওই হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে চিকিৎসাধীন শিশুদের অন্যত্র সরানো হচ্ছে। এসব শিশুর মধ্যে কয়েক জনের হাতে স্যালাইনের পাইপও লাগানো রয়েছে।

তবে হাসপাতালে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরা অংশ নিজেদের ওই হাসপাতালে আঘাত হেনেছে।

শুধু এই হাসপাতাল নয় সোমবার ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রিভি রিহ এবং দিনিপ্রো ও আরও দুটি পূর্বাঞ্চলীয় শহরেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ৩৮টির মধ্যে ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী।

টেলিগ্রামে লেখা এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, হামলায় শিশুদের হাসপাতাল এবং কিয়েভের একটি মাতৃত্ব কেন্দ্র, শিশুদের নার্সারি এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্র ও বাড়িসহ শতাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘রুশ সন্ত্রাসীদের অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে। কেবল উদ্বিগ্ন হলেই সন্ত্রাস বন্ধ হয় না। সমবেদনা কোনও অস্ত্র নয়।’

এদিকে, ভয়াবহ এই হামলা ও হতাহতের পর জেলেনস্কির সরকার মঙ্গলবার শোক দিবস ঘোষণা করেছে। সরকার বলেছে, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে জরুরিভাবে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা বাড়ানো প্রয়োজন।

ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৪১

আপডেট : ০২:১৩:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

রাজধানী কিয়েভের শিশু হাসপাতালসহ ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছে দেড় শতাধিক মানুষ। গত কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার এটিই সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় সোমবার সকালে হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামরা চালায় রাশিয়া। এতে এক চিকিৎসকসহ প্রাপ্ত বয়স্ক দুজন নিহত হয়েছে। ওমাৎজিৎ নামের ওই হাসপাতালের চিকিৎসক লেসিয়া লিসাৎজিয়া বলেন, হামলায় হাসপাতালের একটি অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, অপর একটি অংশে আগুন ধরে যায়। তার মতে, হাসপাতালটির ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘটনার পর ছবিতে দেখা গেছে, ওই হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে চিকিৎসাধীন শিশুদের অন্যত্র সরানো হচ্ছে। এসব শিশুর মধ্যে কয়েক জনের হাতে স্যালাইনের পাইপও লাগানো রয়েছে।

তবে হাসপাতালে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরা অংশ নিজেদের ওই হাসপাতালে আঘাত হেনেছে।

শুধু এই হাসপাতাল নয় সোমবার ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রিভি রিহ এবং দিনিপ্রো ও আরও দুটি পূর্বাঞ্চলীয় শহরেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ৩৮টির মধ্যে ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী।

টেলিগ্রামে লেখা এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, হামলায় শিশুদের হাসপাতাল এবং কিয়েভের একটি মাতৃত্ব কেন্দ্র, শিশুদের নার্সারি এবং ব্যবসায়িক কেন্দ্র ও বাড়িসহ শতাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘রুশ সন্ত্রাসীদের অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে। কেবল উদ্বিগ্ন হলেই সন্ত্রাস বন্ধ হয় না। সমবেদনা কোনও অস্ত্র নয়।’

এদিকে, ভয়াবহ এই হামলা ও হতাহতের পর জেলেনস্কির সরকার মঙ্গলবার শোক দিবস ঘোষণা করেছে। সরকার বলেছে, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে জরুরিভাবে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা বাড়ানো প্রয়োজন।