ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সহজ জয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকাতে সুযোগ পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েই সেমিফাইনালে ওঠেছিল কানাডা। কিন্তু কানাডা যে সেমিতে সহজ প্রতিপক্ষ সেটি প্রমাণ করল লিওনেল মেসিরা। একপেশে লড়াইয়ে কানাডাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ পায় কানাডা। শ্যাফেলবার্গের বাঁ পায়ের শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৮ মিনিটের মাথায় সেই শ্যাফেলবার্গই আবার একই পজিশনে বল পেলে সেটিও বাইরে মারেন।

ম্যাচে আর্জেন্টিনা প্রথম আক্রমণের সুযোগ আসে ১২ নিনিটের মাথায়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে লিওনেল মেসির বা পায়ের জোড়ালো শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কানাডার খেলোয়াড়রা পেশিশক্তির ব্যবহার করলেও আর্জেন্টিনা মাথা ঠাণ্ডা করে খেলতে থাকে। যার ফলও পেয়ে যায় মেসিরা।

টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার শুরুর ম্যাচে প্রথম গোলটা এসেছিল ম্যানচেস্টার সিটির তারকা আলভারেজের পা থেকে। আজ সেমিফাইনালেও সেই আলভারেজই ত্রাতা হয়ে আর্জেন্টিনাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। ২২ মিনিটে তার দেওয়া গোলেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো ডি পলের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আলভারেজ।

এগিয়ে যাওয়ার আবারো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ৩৪ মিনিটে এবার ডি মারিয়া তার চিরাচরিত চিপ শটে বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে মারলে সামান্য উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে ডি-বক্সের ভেতর সুযোগ পায় কানাডা। জটলা থেকে নেওয়া আলফনসো ডেভিসের শট রুখে দেন মার্টিনেজ। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধেও দাপটের সঙ্গে শুরু করে আর্জেন্টিনা। যে কারণে গোল করতেও বেশি দেরি হয়নি তাদের। ৫১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্জেন্টিনা। এনজো ফার্নান্দেজের জোরালো মেসির বাঁপায়ে লেগে কানাডা জালে গিয়ে জমা হয়। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০।

এই অর্ধে ম্যাচে ফেরার জন্য দারুণ চেষ্টা চালিয়েছে কানাডা। প্রথমার্ধে রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেও এবার উপরে এসেছিল তারা। বেশ কিছু আক্রমণ করেছিল তারা। তবে সফলতা আসেনি।

অন্যদিকে আর্জেন্টিনাও একের পর এক আক্রমণ করে কানাডা রক্ষণভাগকে ব্যস্ত করে তোলে। ৬১ মিনিটে ডি মারিয়ার অ্যাসিস্ট থেকে আলভারেজের একটি শট রুখে কানাডার গোলরক্ষক মেক্সিম ক্রিপাউ। এরপর টানা ২টি আক্রমণ চালায় কানাডা। তবে ব্যর্থই থাকে তারা। ৮৯ ও ৯০ মিনিটেও গোলচেষ্টা চালিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশটি। তবে সফলতার মুখ দেখেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সহজ জয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকাতে সুযোগ পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েই সেমিফাইনালে ওঠেছিল কানাডা। কিন্তু কানাডা যে সেমিতে সহজ প্রতিপক্ষ সেটি প্রমাণ করল লিওনেল মেসিরা। একপেশে লড়াইয়ে কানাডাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ পায় কানাডা। শ্যাফেলবার্গের বাঁ পায়ের শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৮ মিনিটের মাথায় সেই শ্যাফেলবার্গই আবার একই পজিশনে বল পেলে সেটিও বাইরে মারেন।

ম্যাচে আর্জেন্টিনা প্রথম আক্রমণের সুযোগ আসে ১২ নিনিটের মাথায়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে লিওনেল মেসির বা পায়ের জোড়ালো শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কানাডার খেলোয়াড়রা পেশিশক্তির ব্যবহার করলেও আর্জেন্টিনা মাথা ঠাণ্ডা করে খেলতে থাকে। যার ফলও পেয়ে যায় মেসিরা।

টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার শুরুর ম্যাচে প্রথম গোলটা এসেছিল ম্যানচেস্টার সিটির তারকা আলভারেজের পা থেকে। আজ সেমিফাইনালেও সেই আলভারেজই ত্রাতা হয়ে আর্জেন্টিনাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। ২২ মিনিটে তার দেওয়া গোলেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো ডি পলের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আলভারেজ।

এগিয়ে যাওয়ার আবারো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ৩৪ মিনিটে এবার ডি মারিয়া তার চিরাচরিত চিপ শটে বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে মারলে সামান্য উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে ডি-বক্সের ভেতর সুযোগ পায় কানাডা। জটলা থেকে নেওয়া আলফনসো ডেভিসের শট রুখে দেন মার্টিনেজ। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধেও দাপটের সঙ্গে শুরু করে আর্জেন্টিনা। যে কারণে গোল করতেও বেশি দেরি হয়নি তাদের। ৫১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্জেন্টিনা। এনজো ফার্নান্দেজের জোরালো মেসির বাঁপায়ে লেগে কানাডা জালে গিয়ে জমা হয়। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০।

এই অর্ধে ম্যাচে ফেরার জন্য দারুণ চেষ্টা চালিয়েছে কানাডা। প্রথমার্ধে রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেও এবার উপরে এসেছিল তারা। বেশ কিছু আক্রমণ করেছিল তারা। তবে সফলতা আসেনি।

অন্যদিকে আর্জেন্টিনাও একের পর এক আক্রমণ করে কানাডা রক্ষণভাগকে ব্যস্ত করে তোলে। ৬১ মিনিটে ডি মারিয়ার অ্যাসিস্ট থেকে আলভারেজের একটি শট রুখে কানাডার গোলরক্ষক মেক্সিম ক্রিপাউ। এরপর টানা ২টি আক্রমণ চালায় কানাডা। তবে ব্যর্থই থাকে তারা। ৮৯ ও ৯০ মিনিটেও গোলচেষ্টা চালিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশটি। তবে সফলতার মুখ দেখেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।