চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায় বেইজিংয়ের দ্য গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় একান্তে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলাপ করেন শেখ হাসিনা এবং শি জিংপিং।
শি জিনপিং এবং লি কিয়াংয়ের সাথে তাঁর বৈঠকে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুরে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের জন্য চার রকমের সহায়তা বাড়ানোর কথা বলেছেন শি। এগুলো হচ্ছে, এককালীন মঞ্জুরি, সুদমুক্ত ঋণ, স্বল্প সুদের ঋণ এবং বাণিজ্যিক ঋণ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
বাসস জানায়, বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, পায়রা বন্দর উন্নয়নসহ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় চীনের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় রোহিঙ্গা প্রতাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে শি বলেন, প্রয়োজনে এ নিয়ে তিনি আরাকান আর্মির সঙ্গেও কথা বলবেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর। আজ রাতেই ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
২০২৩ সালের আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শি জিন পিংয়ের সঙ্গে শেখ হাসিনার শেষ আলোচনা হয়।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা। সকাল ৯টায় দ্য গ্রেট হল অব দ্য পিপলে দেয়া হয় গার্ড অব অনার। পরে বৈঠক করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সাথে। বৈঠক শেষে ২১টি চুক্তি-সমঝোতা ও ৭টি ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর হয়।