ঢাকা ০৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়ছে বন্যার পানি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:১২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত ১৮ ঘণ্টায় নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জানা গেছে, বন্যায় যমুনা পাড়ের কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী শাহজাদপুর ৫ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে খাদ্য, অর্থ ও ওষুধ এবং বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বসতবাড়ি রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলেও চরম দুর্ভোগে পড়েছে বন্যা কবলিতরা। সারাক্ষণ পানিতে থাকায় হাত-পায়ে ঘাসহ পানিবাহিত রোগ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

এদিকে, খাদ্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বন্যায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকরা চরম ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।

অপরদিকে, সহস্রাধিক তাঁত কারখানা তলিয়ে যাওয়ায় মালিক ও শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। পানিবৃদ্ধির ফলে যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন মানুষ ফসল ও বসতভিটা হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে জেলায় প্রায় ৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চরম ব্যাঘাত ঘটছে।

অন্যদিকে সদর, কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় প্রতিদিন বসতভিটা ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়ছে বন্যার পানি

আপডেট সময় : ০২:১২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত ১৮ ঘণ্টায় নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জানা গেছে, বন্যায় যমুনা পাড়ের কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী শাহজাদপুর ৫ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে খাদ্য, অর্থ ও ওষুধ এবং বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বসতবাড়ি রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলেও চরম দুর্ভোগে পড়েছে বন্যা কবলিতরা। সারাক্ষণ পানিতে থাকায় হাত-পায়ে ঘাসহ পানিবাহিত রোগ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

এদিকে, খাদ্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বন্যায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকরা চরম ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।

অপরদিকে, সহস্রাধিক তাঁত কারখানা তলিয়ে যাওয়ায় মালিক ও শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। পানিবৃদ্ধির ফলে যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন মানুষ ফসল ও বসতভিটা হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে জেলায় প্রায় ৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চরম ব্যাঘাত ঘটছে।

অন্যদিকে সদর, কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় প্রতিদিন বসতভিটা ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে।