০৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়ছে বন্যার পানি

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত ১৮ ঘণ্টায় নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জানা গেছে, বন্যায় যমুনা পাড়ের কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী শাহজাদপুর ৫ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে খাদ্য, অর্থ ও ওষুধ এবং বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বসতবাড়ি রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলেও চরম দুর্ভোগে পড়েছে বন্যা কবলিতরা। সারাক্ষণ পানিতে থাকায় হাত-পায়ে ঘাসহ পানিবাহিত রোগ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

এদিকে, খাদ্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বন্যায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকরা চরম ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।

অপরদিকে, সহস্রাধিক তাঁত কারখানা তলিয়ে যাওয়ায় মালিক ও শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। পানিবৃদ্ধির ফলে যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন মানুষ ফসল ও বসতভিটা হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে জেলায় প্রায় ৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চরম ব্যাঘাত ঘটছে।

অন্যদিকে সদর, কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় প্রতিদিন বসতভিটা ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জে আবারও বাড়ছে বন্যার পানি

আপডেট : ০২:১২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত ১৮ ঘণ্টায় নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জানা গেছে, বন্যায় যমুনা পাড়ের কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী শাহজাদপুর ৫ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে খাদ্য, অর্থ ও ওষুধ এবং বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বসতবাড়ি রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলেও চরম দুর্ভোগে পড়েছে বন্যা কবলিতরা। সারাক্ষণ পানিতে থাকায় হাত-পায়ে ঘাসহ পানিবাহিত রোগ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

এদিকে, খাদ্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বন্যায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকরা চরম ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।

অপরদিকে, সহস্রাধিক তাঁত কারখানা তলিয়ে যাওয়ায় মালিক ও শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। পানিবৃদ্ধির ফলে যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন মানুষ ফসল ও বসতভিটা হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে জেলায় প্রায় ৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চরম ব্যাঘাত ঘটছে।

অন্যদিকে সদর, কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় প্রতিদিন বসতভিটা ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে।