০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমিই যোগ্য, সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না : বাইডেন

আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নাকি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনই লড়বেন তা নিয়ে সংশয়ের মধ্যেই ফের স্পষ্ট বার্তা দিলেন বাইডেন। তাঁর মতে, তিনিই এই মুহূর্তে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রসঙ্গে কথা বলেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাইডেন রাজনৈতিক জীবনে এমন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এর আগে কমই এসেছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।

তাঁদের মতে, এই সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বিরোধিতাকারীদের এবং সমর্থকদের বোঝানোর সুযোগ ছিল যে তিনি আরও চার বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

এক সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে লক্ষ্য করে বলেন, জরিপ বলছে, তিনি যদি সরে দাঁড়ান তবে হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর (বাইডেনের) মত জানতে চান তিনি।

ওই জরিপ নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘জরিপের অস্তিত্ব নেই। কেউ কতটা সঠিক বলে মনে করে যে, ভোট হচ্ছে। আমি মনে করি… আমি জানি, আমি বিশ্বাস করি আমি সবচেয়ে যোগ্য।’

অন্য কেউও হয়তো ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারে বলেও স্বীকার করেন বাইডেন। এর সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে লড়ছি।’

টিভি বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পর ডেমোক্রেটিক প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর যখন চাপ বাড়ছে, হ্যারিস তখন বেশ জোরালোভাবে আলোচনায় এসেছেন।

একাধিক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, বাইডেনকে যদি সরে দাঁড়াতে হয়, অর্থাৎ যেকোনো উপায়েই যদি তিনি ভোটে লড়ার যোগ্য বলে বিবেচিত না হন, তখন তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন হ্যারিস।

তবে বারবারই বাইডেন বলে আসছেন, নভেম্বরে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনিই লড়বেন। কিন্তু ভিন্ন সুর দলের দাতাদের। ট্রাম্পকে ফের ক্ষমতার বাইরে রাখতে বাইডেনের চেয়ে কমলা হ্যারিসের সফলতার সম্ভাবনা বেশি কিনা, সে প্রশ্ন তাদের মনে।

৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস যদি দলের মনোনয়ন পেয়ে আসন্ন ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, তবে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।

গত ২ জুলাই সিএনএনের প্রকাশ করা এক জরিপ বলছে, ভোটাররা ট্রাম্পকে ৬ শতাংশ এগিয়ে রেখেছেন। ট্রাম্পকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন ৪৯ শতাংশ ভোটার, যেখানে বাইডেনের পক্ষে সমর্থন এসেছে ৪৩ শতাংশ। হ্যারিস ৪৭ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন, ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ সমর্থন।

সাম্প্রতিক টেলিভশন বিতর্কের পর রয়টার্সের করা এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের বিপক্ষে বাইডেন ও হ্যারিসের অবস্থান প্রায় কাছাকাছি। হ্যারিসের পক্ষে সমর্থন ৪২ শতাংশ, আর বাইডেনের জন্য সমর্থন ৪৩ শতাংশের।

টেলিভিশন বিতর্কের পর বাইডেনের ক্যাম্পেইনিংয়ে প্রকাশ করা অভ্যন্তরীণ জরিপে ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের প্রতিদ্বিন্দ্বিতার যে ইঙ্গিত মিলেছে, প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে হ্যারিসের ক্ষেত্রেও। জরিপে অংশ নেওয়া ১০০ জনের মধ্যে ৪৫ জন বলেছেন, তারা ভোট দেবেন হ্যারিসকে, ৪৮ জন ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ভোটের লড়াই থেকে বাইডেন সরে গেলে সেক্ষেত্রে কমলা হ্যারিসই সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রভাবশালী নেতারা।

আমিই যোগ্য, সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না : বাইডেন

আপডেট : ১২:০৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নাকি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনই লড়বেন তা নিয়ে সংশয়ের মধ্যেই ফের স্পষ্ট বার্তা দিলেন বাইডেন। তাঁর মতে, তিনিই এই মুহূর্তে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রসঙ্গে কথা বলেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাইডেন রাজনৈতিক জীবনে এমন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এর আগে কমই এসেছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।

তাঁদের মতে, এই সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বিরোধিতাকারীদের এবং সমর্থকদের বোঝানোর সুযোগ ছিল যে তিনি আরও চার বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

এক সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে লক্ষ্য করে বলেন, জরিপ বলছে, তিনি যদি সরে দাঁড়ান তবে হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর (বাইডেনের) মত জানতে চান তিনি।

ওই জরিপ নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘জরিপের অস্তিত্ব নেই। কেউ কতটা সঠিক বলে মনে করে যে, ভোট হচ্ছে। আমি মনে করি… আমি জানি, আমি বিশ্বাস করি আমি সবচেয়ে যোগ্য।’

অন্য কেউও হয়তো ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারে বলেও স্বীকার করেন বাইডেন। এর সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে লড়ছি।’

টিভি বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পর ডেমোক্রেটিক প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর যখন চাপ বাড়ছে, হ্যারিস তখন বেশ জোরালোভাবে আলোচনায় এসেছেন।

একাধিক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, বাইডেনকে যদি সরে দাঁড়াতে হয়, অর্থাৎ যেকোনো উপায়েই যদি তিনি ভোটে লড়ার যোগ্য বলে বিবেচিত না হন, তখন তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন হ্যারিস।

তবে বারবারই বাইডেন বলে আসছেন, নভেম্বরে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনিই লড়বেন। কিন্তু ভিন্ন সুর দলের দাতাদের। ট্রাম্পকে ফের ক্ষমতার বাইরে রাখতে বাইডেনের চেয়ে কমলা হ্যারিসের সফলতার সম্ভাবনা বেশি কিনা, সে প্রশ্ন তাদের মনে।

৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস যদি দলের মনোনয়ন পেয়ে আসন্ন ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, তবে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।

গত ২ জুলাই সিএনএনের প্রকাশ করা এক জরিপ বলছে, ভোটাররা ট্রাম্পকে ৬ শতাংশ এগিয়ে রেখেছেন। ট্রাম্পকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন ৪৯ শতাংশ ভোটার, যেখানে বাইডেনের পক্ষে সমর্থন এসেছে ৪৩ শতাংশ। হ্যারিস ৪৭ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন, ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ সমর্থন।

সাম্প্রতিক টেলিভশন বিতর্কের পর রয়টার্সের করা এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের বিপক্ষে বাইডেন ও হ্যারিসের অবস্থান প্রায় কাছাকাছি। হ্যারিসের পক্ষে সমর্থন ৪২ শতাংশ, আর বাইডেনের জন্য সমর্থন ৪৩ শতাংশের।

টেলিভিশন বিতর্কের পর বাইডেনের ক্যাম্পেইনিংয়ে প্রকাশ করা অভ্যন্তরীণ জরিপে ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের প্রতিদ্বিন্দ্বিতার যে ইঙ্গিত মিলেছে, প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে হ্যারিসের ক্ষেত্রেও। জরিপে অংশ নেওয়া ১০০ জনের মধ্যে ৪৫ জন বলেছেন, তারা ভোট দেবেন হ্যারিসকে, ৪৮ জন ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ভোটের লড়াই থেকে বাইডেন সরে গেলে সেক্ষেত্রে কমলা হ্যারিসই সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রভাবশালী নেতারা।