ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শিশুদের পুরো প্রজন্ম হারানোর দ্বারপ্রান্তে গাজা : জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
  • / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক জুলিয়েট তোমা বলেছেন, গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে ফিলিস্তিনি শিশুদের একটি পুরো প্রজন্ম হুমকির সম্মুখীন হবে।

জুলিয়েট তোমা বলেন, অক্টোবরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার অন্তত ছয় লাখ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং তারা শোষণের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

‘আমরা একটি পুরো প্রজন্মের শিশুদের হারানোর দ্বারপ্রান্তে আছি। শিশুরা যত বেশি সময় স্কুলের বাইরে থাকে, তাদের জন্য ফিরে আসা তত কঠিন হয়ে পড়ে। এতে তারা শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ, এমনকি সশস্ত্র গোষ্ঠীতে নিয়োগ ও যুদ্ধে অংশ নেওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যায়’, বলেন তোমা।

ফ্রান্সের প্রসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিষয়ে পশ্চিমাদের অবশ্যই ‘দ্বৈত মানদণ্ডের’ অভিযোগ নিয়ে ‘জোরালো জবাব’ দিতে হবে। বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য জানায়।

ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাটো সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ইউক্রেনের তুলনায় গাজা নিয়ে অনেক কম উদ্বিগ্ন হওয়ার জন্য আমাদের মাঝে মাঝে সমালোচিত হতে হয়। এই সমালোচনা আমাদের সবার জন্য গভীর ক্ষতিকর।’

ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই দেখাতে হবে, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি এখানে আবারও বলছি, গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জন করা, জিম্মিদের মুক্ত করা এবং লেবাননে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সংঘাত। এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৩৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৮ হাজার ২৯৫ জন আহত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিশুদের পুরো প্রজন্ম হারানোর দ্বারপ্রান্তে গাজা : জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ১২:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক জুলিয়েট তোমা বলেছেন, গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে ফিলিস্তিনি শিশুদের একটি পুরো প্রজন্ম হুমকির সম্মুখীন হবে।

জুলিয়েট তোমা বলেন, অক্টোবরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার অন্তত ছয় লাখ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং তারা শোষণের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

‘আমরা একটি পুরো প্রজন্মের শিশুদের হারানোর দ্বারপ্রান্তে আছি। শিশুরা যত বেশি সময় স্কুলের বাইরে থাকে, তাদের জন্য ফিরে আসা তত কঠিন হয়ে পড়ে। এতে তারা শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ, এমনকি সশস্ত্র গোষ্ঠীতে নিয়োগ ও যুদ্ধে অংশ নেওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যায়’, বলেন তোমা।

ফ্রান্সের প্রসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিষয়ে পশ্চিমাদের অবশ্যই ‘দ্বৈত মানদণ্ডের’ অভিযোগ নিয়ে ‘জোরালো জবাব’ দিতে হবে। বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য জানায়।

ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাটো সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ইউক্রেনের তুলনায় গাজা নিয়ে অনেক কম উদ্বিগ্ন হওয়ার জন্য আমাদের মাঝে মাঝে সমালোচিত হতে হয়। এই সমালোচনা আমাদের সবার জন্য গভীর ক্ষতিকর।’

ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই দেখাতে হবে, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি এখানে আবারও বলছি, গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জন করা, জিম্মিদের মুক্ত করা এবং লেবাননে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সংঘাত। এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৩৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৮ হাজার ২৯৫ জন আহত হয়েছে।