আবারও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলো। মূল্য সমন্বয়ে ট্যারিফ কমিশনে এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছে মিল মালিক সমিতি। তবে, দাম বাড়ানোর এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও যাচাই বাছাই করছে মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ৪ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ১৬৭ টাকা। আর খোলা তেলে ২ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ হয় ১৪৭ টাকা।
এমন পরিস্থিতিতে তেলের দাম বাড়াতে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। সবদিক আমলে নিয়ে তা বিশ্লেষণ করছে কমিশন। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এরই মধ্যে বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। ভোক্তাদের শঙ্কা তেলের মূল্যবৃদ্ধি আরও কঠিন করে তুলবে জীবনযাত্রা।
দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চড়া বৈশ্বিক বাজার, ব্যাংক সুদহার বৃদ্ধি এবং ডলারের বাড়তি মূল্যকে দায়ী করছেন উৎপাদন কোম্পানিগুলো। যদিও বিশ্ববাজারে দাম কমলে সে অনুযায়ী কমাতে চায় না তারা।
এ ব্যাপারে টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম বলেন, ‘কোথায় কোন রেটে তেল বিক্রি হচ্ছে তা আমরা যেমন জানি, দোকানদারেরাও জানেন। ট্রেডিং যারা করে তারাও কিন্তু এই রেট জানে। বিশ্ববাজারে ১০০ ডলার বেশি দামে বিক্রি হলে সেই রেটেই তো তারা কিনেন।’
সয়াবিন ও পাম তেল মিলিয়ে দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২০ লাখ টনের বেশি। এর বেশিরভাগই আমদানি করে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।