সিরাজগঞ্জে দুই দিন পর আবারও যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে বন্যা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরো কয়েকদিন পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলার পাঁচ উপজেলার চরাঞ্চলবেষ্টিত ৩৪টি ইউনিয়নের ২১ হাজার পরিবারের প্রায় ৯৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। একই সঙ্গে দেখা গেছে গবাদিপশুর খাদ্য সংকট।
জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, বন্যার কারণে পাঁচ উপজেলার ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম শুরু বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এরই মধ্যে ৬ হাজার ৪৯৭ হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট, তিল, মরিচ, বাদাম, বোনা আমন, শাক-সবজি, বীজ তলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৪৯টি পরিবারের ৯৪ হাজার ২১৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যাদুর্গত এসব মানুষের জন্য ইতিমধ্যে ১০০ মেট্রিক টন চাল, ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুদ রয়েছে আরও ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল, ২০ লাখ টাকা ও ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার।