০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাত সকালে ডুবল ঢাকা, ৩ ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি

রাজধানীতে ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে রাজধানীর অনেক সড়কই চলে গেছে পানির নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজারে, ৩০৯ মিলিমিটার।

পূর্বাভাস বলছে, শুক্রবার সারাদিনই থাকতে পারে বৃষ্টির প্রবণতা। ভারী বৃষ্টিতে সিলেট ও চট্টগ্রামে ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে।

শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভোর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে বয়ে যাচ্ছে ঠান্ডা বাতাস।

তবে ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে যানবাহন চলাচল ছিল খুবই কম। এর মধ্যেও যারা বের হয়েছেন, তারা ছাতা মাথায়, না-হয় ভিজে ভিজে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

আবহাওয়াবীদ তরিকুল নেওয়াজ বলেন, ‘বৃষ্টির প্রবণতা আজ সারাদেশেই অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে দেশের উত্তর অঞ্চলসহ সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে সিলেট ও চট্টগ্রামে ভূমিধস হতে পারে। শনিবার থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে, তবে দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর নীচু এলাকাগুলোতে পানি জমতে দেখা গেছে। শান্তিনগর, কাকরাইল, মালিবাগ, বেইলি রোড, মধুবাগ, রামপুরা, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, শ্যাওড়া পাড়া, কাজীপাড়াসহ মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক চলে গেছে পানির নিচে। বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগ পড়েন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা পরীক্ষার্থীরা।

অধিকাংশ সড়কেই নেই যানবাহনের চাপ। এর মধ্যেও যারা বের হয়েছেন তারা ছাতা নিয়ে, না হয় ভিজে ভিজে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে বেশি বিপাকে পড়েছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে অনেকে বাসা থেকে বের হতে পারেননি। কেউ কেউ বের হলেও সড়কে পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় বিপাকে পড়ছেন।

মিরপুর বাংলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা রহুল আমিন বলেন, বৃষ্টির কারণে বাসা থেকে বের হতে পারছিলাম না। কিছুটা দেরি হয়ে গেল।

ঢাকার ধামরাই থেকে মিরপুর বাংলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এসেছেন বদরুল আমিন। সঙ্গে ছাতা না থাকায় টেকনিক্যাল মোড় থেকে বাংলা কলেজ গেট পর্যন্ত যেতে রিকশাচালক তার কাছে ৫০ টাকা ভাড়া চেয়েছেন । বাধ্য হয়ে ওই টাকা দিয়েই তিনি কেন্দ্র পর্যন্ত গিয়েছেন বলে জানান। বলেন, বৃষ্টির কারণে তার মতো প্রায় সবারই ভুগতে হয়েছে।

অপরদিকে, কারওয়ান বাজার, শাহজাহানপুর, মালিবাগ রেলগেট, মৌচাক, মগবাজার, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, তেজকুনি পাড়া, যাত্রাবাড়ি, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, মিরপুর, বাংলামোটর, মতিঝিল, ধানমন্ডিসহ রাজধানীর অনেকে রাস্তায় এরই মধ্যে পানি জমে গেছে। অনেক জায়গায় ড্রেন ভরে উপচে পানি জমেছে রাস্তায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। যদিও ছুটির দিন হওয়ায় রাজধানীতে লোক কম।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। যার ফলে দেশের সব বিভাগেই শুক্রবার রয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। কোথাও কোথাও হতে পারে ভারি বর্ষণও।

সাত সকালে ডুবল ঢাকা, ৩ ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি

আপডেট : ১১:৫১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

রাজধানীতে ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে রাজধানীর অনেক সড়কই চলে গেছে পানির নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজারে, ৩০৯ মিলিমিটার।

পূর্বাভাস বলছে, শুক্রবার সারাদিনই থাকতে পারে বৃষ্টির প্রবণতা। ভারী বৃষ্টিতে সিলেট ও চট্টগ্রামে ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে।

শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভোর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে বয়ে যাচ্ছে ঠান্ডা বাতাস।

তবে ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে যানবাহন চলাচল ছিল খুবই কম। এর মধ্যেও যারা বের হয়েছেন, তারা ছাতা মাথায়, না-হয় ভিজে ভিজে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

আবহাওয়াবীদ তরিকুল নেওয়াজ বলেন, ‘বৃষ্টির প্রবণতা আজ সারাদেশেই অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে দেশের উত্তর অঞ্চলসহ সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে সিলেট ও চট্টগ্রামে ভূমিধস হতে পারে। শনিবার থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে, তবে দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর নীচু এলাকাগুলোতে পানি জমতে দেখা গেছে। শান্তিনগর, কাকরাইল, মালিবাগ, বেইলি রোড, মধুবাগ, রামপুরা, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, শ্যাওড়া পাড়া, কাজীপাড়াসহ মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক চলে গেছে পানির নিচে। বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগ পড়েন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা পরীক্ষার্থীরা।

অধিকাংশ সড়কেই নেই যানবাহনের চাপ। এর মধ্যেও যারা বের হয়েছেন তারা ছাতা নিয়ে, না হয় ভিজে ভিজে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে বেশি বিপাকে পড়েছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে অনেকে বাসা থেকে বের হতে পারেননি। কেউ কেউ বের হলেও সড়কে পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় বিপাকে পড়ছেন।

মিরপুর বাংলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা রহুল আমিন বলেন, বৃষ্টির কারণে বাসা থেকে বের হতে পারছিলাম না। কিছুটা দেরি হয়ে গেল।

ঢাকার ধামরাই থেকে মিরপুর বাংলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এসেছেন বদরুল আমিন। সঙ্গে ছাতা না থাকায় টেকনিক্যাল মোড় থেকে বাংলা কলেজ গেট পর্যন্ত যেতে রিকশাচালক তার কাছে ৫০ টাকা ভাড়া চেয়েছেন । বাধ্য হয়ে ওই টাকা দিয়েই তিনি কেন্দ্র পর্যন্ত গিয়েছেন বলে জানান। বলেন, বৃষ্টির কারণে তার মতো প্রায় সবারই ভুগতে হয়েছে।

অপরদিকে, কারওয়ান বাজার, শাহজাহানপুর, মালিবাগ রেলগেট, মৌচাক, মগবাজার, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, তেজকুনি পাড়া, যাত্রাবাড়ি, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, মিরপুর, বাংলামোটর, মতিঝিল, ধানমন্ডিসহ রাজধানীর অনেকে রাস্তায় এরই মধ্যে পানি জমে গেছে। অনেক জায়গায় ড্রেন ভরে উপচে পানি জমেছে রাস্তায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। যদিও ছুটির দিন হওয়ায় রাজধানীতে লোক কম।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। যার ফলে দেশের সব বিভাগেই শুক্রবার রয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। কোথাও কোথাও হতে পারে ভারি বর্ষণও।