ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘কোটাবিরোধীদের অনেক বক্তব্য সংবিধানের মূলনীতির বিরোধী’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের অনেক বক্তব্য বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতির বিরোধী। ফলে তাদের সব দাবি সরকারের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘কেবল রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিছু শিক্ষার্থীদের কথায় সংবিধান বদলাবে না।’

আজ শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা না থাকায় গত কয়েক বছরে সরকারি চাকরিতে নারী এবং সমাজের পিছিয়ে পড়াদের অংশগ্রহণ আশংকাজনকভাবে কমে গেছে। কিন্তু দেশের সংবিধান বলে, দেশের সব জনগোষ্ঠীর অগ্রগতি নিশ্চিত করতে। এজন্যই নারী ও সমাজের অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগ করে দিতে কোটাপ্রথা রাখা উচিত বলে জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের জানান, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে কম হারে কোটার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়।

সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের কর্মবিরতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষকদের দাবিনামা অচিরেই সমাধান হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষকদের দাবি জানানো, ২০২৪-২৫ এর যে পার্থক্য ছিল সেখানে ভুল বোঝাবুঝির একটি কারণ ছিল। সেটি আসলে ২০২৫ সালের ১ জুলাই হবে। এটি তাদের নিশ্চিত করতে হয়েছে। আর বাকি যে দাবিগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হুট করে তো সিদ্ধান্ত আসে না, সরকারেরও যুক্তি আছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই শিক্ষকদের অন্য দাবিগুলোর সমাধান হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাপা, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এদিন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি আকতারুল ইসলাম ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর নিজামুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের শিক্ষক প্রতিনিধি দল ওই বৈঠকে অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘কোটাবিরোধীদের অনেক বক্তব্য সংবিধানের মূলনীতির বিরোধী’

আপডেট সময় : ০৭:৫০:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের অনেক বক্তব্য বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতির বিরোধী। ফলে তাদের সব দাবি সরকারের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘কেবল রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিছু শিক্ষার্থীদের কথায় সংবিধান বদলাবে না।’

আজ শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা না থাকায় গত কয়েক বছরে সরকারি চাকরিতে নারী এবং সমাজের পিছিয়ে পড়াদের অংশগ্রহণ আশংকাজনকভাবে কমে গেছে। কিন্তু দেশের সংবিধান বলে, দেশের সব জনগোষ্ঠীর অগ্রগতি নিশ্চিত করতে। এজন্যই নারী ও সমাজের অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগ করে দিতে কোটাপ্রথা রাখা উচিত বলে জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের জানান, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে কম হারে কোটার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়।

সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের কর্মবিরতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষকদের দাবিনামা অচিরেই সমাধান হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষকদের দাবি জানানো, ২০২৪-২৫ এর যে পার্থক্য ছিল সেখানে ভুল বোঝাবুঝির একটি কারণ ছিল। সেটি আসলে ২০২৫ সালের ১ জুলাই হবে। এটি তাদের নিশ্চিত করতে হয়েছে। আর বাকি যে দাবিগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হুট করে তো সিদ্ধান্ত আসে না, সরকারেরও যুক্তি আছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই শিক্ষকদের অন্য দাবিগুলোর সমাধান হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাপা, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এদিন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি আকতারুল ইসলাম ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর নিজামুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের শিক্ষক প্রতিনিধি দল ওই বৈঠকে অংশ নেন।