০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেপালে ১৬ বছরে ১৪ বার সরকার বদল?

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের প্রধান কে পি শর্মা ওলি। নেপালি কংগ্রেস দলের সমর্থন নিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে তিনি। এ নিয়ে ১৬ বছরে নেপালে ১৪ বার সরকার বদল হলো। এর আগে, শুক্রবার আস্থা ভোটে হেরে যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। দায়িত্ব নেওয়ার ১৯ মাস পর ক্ষমতাচ্যুত হলেন তিনি।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউন বলছে, নেপালে পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ডর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেয় জোটের অন্যতম বড় অংশীদার কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন দল ইউএমএল।

এর পরই শুক্রবার নেপালের পার্লামেন্টে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। তাতে হেরে যান প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। ২৭৫ সদস্যের প্রতিনিধি সভায় আস্থাভোটে জিততে কমপক্ষে ১৩৮টি ভোটের প্রয়োজন হলেও তাঁর পক্ষে পড়ে ৬৩টি ভোট আর বিপক্ষে পড়ে ১৯৪টি ভোট।

২০২২ সালের দেশটির সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল পুষ্প কমল দাহালের দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল। কিন্তু জেতার পর দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন পুষ্প কমল।

এরপর থেকে চার দফা আস্থাভোটে টিকে গেলেও এবার ব্যর্থ হন পুষ্প কমল। ফলে ১৯ মাস পর ক্ষমতাচ্যুত হলেন পুষ্পকমল। তবে নতুন সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে নেপালের নতুন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিতে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওদেল।

এরই মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেপালি কংগ্রেসের প্রধান শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে জোট সরকার গঠনের সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএমএল। সেক্ষেত্রে আগামী দেড় বছরের জন্য নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ইউএমএল প্রধান কে পি শর্মা ওলি।

২০০৮ থেকে এ পর্যন্ত ১৪ বার প্রধানমন্ত্রী বদল হলো নেপালে। এভাবে একের পর এক প্রধানমন্ত্রী বদলে প্রতিবেশি ভারত ও চীনের প্রভাব থাকতে পারে বলেই মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তবে, এই দুই দেশ এ নিয়ে তেমন মন্তব্য করে না।

নেপালে ১৬ বছরে ১৪ বার সরকার বদল?

আপডেট : ০৬:১৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের প্রধান কে পি শর্মা ওলি। নেপালি কংগ্রেস দলের সমর্থন নিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে তিনি। এ নিয়ে ১৬ বছরে নেপালে ১৪ বার সরকার বদল হলো। এর আগে, শুক্রবার আস্থা ভোটে হেরে যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। দায়িত্ব নেওয়ার ১৯ মাস পর ক্ষমতাচ্যুত হলেন তিনি।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউন বলছে, নেপালে পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ডর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেয় জোটের অন্যতম বড় অংশীদার কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন দল ইউএমএল।

এর পরই শুক্রবার নেপালের পার্লামেন্টে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। তাতে হেরে যান প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল। ২৭৫ সদস্যের প্রতিনিধি সভায় আস্থাভোটে জিততে কমপক্ষে ১৩৮টি ভোটের প্রয়োজন হলেও তাঁর পক্ষে পড়ে ৬৩টি ভোট আর বিপক্ষে পড়ে ১৯৪টি ভোট।

২০২২ সালের দেশটির সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল পুষ্প কমল দাহালের দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল। কিন্তু জেতার পর দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন পুষ্প কমল।

এরপর থেকে চার দফা আস্থাভোটে টিকে গেলেও এবার ব্যর্থ হন পুষ্প কমল। ফলে ১৯ মাস পর ক্ষমতাচ্যুত হলেন পুষ্পকমল। তবে নতুন সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে নেপালের নতুন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিতে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওদেল।

এরই মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেপালি কংগ্রেসের প্রধান শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে জোট সরকার গঠনের সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএমএল। সেক্ষেত্রে আগামী দেড় বছরের জন্য নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ইউএমএল প্রধান কে পি শর্মা ওলি।

২০০৮ থেকে এ পর্যন্ত ১৪ বার প্রধানমন্ত্রী বদল হলো নেপালে। এভাবে একের পর এক প্রধানমন্ত্রী বদলে প্রতিবেশি ভারত ও চীনের প্রভাব থাকতে পারে বলেই মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তবে, এই দুই দেশ এ নিয়ে তেমন মন্তব্য করে না।