১০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা আন্দোলন : রোববার গণপদযাত্রা, রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি

সব সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার গণপদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পাশাপাশি একই দিন রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করবেন আন্দোলনকারীরা।

শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

কর্মসূচি অনুযায়ী, রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে গণপদযাত্রা শুরু হবে। গণপদযাত্রা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে স্মারকলিপি প্রদান করবে। গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ, শেরে বাংলা কলেজসহ ঢাকার সব প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে বলে জানান নেতারা।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলন শেষ হয়ে তারা ক্লাসে ফিরলেও আমাদের ছাত্র ধর্মঘট চলমান থাকবে। আমরা কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো না। আমরা চাই শিক্ষকরা আমাদের চলমান যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহযোগিতা করুক।

সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, সম্মানিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, শিক্ষার্থীরা আপনাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে গ্রহণ করেছে। আপনারা আন্দোলন শুরু করায় শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বসে থাকেনি। তাই আমাদের যৌক্তিক দাবির এই আন্দোলনে আপনারা কতটুকু পাশে থাকবেন সেটা দেখার সময় এসেছে। আমরা যেন এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা না দেখি যে কিছু শিক্ষক ক্লাস-পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিচ্ছে। আপনারা আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে প্রমান করুন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, আজকের এই জনদুর্ভোগের স্থায়িত্ব নির্ভর করে সরকারের ওপর। তারা আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিলেই আমাদের রাজপথে থাকতে হয় না। তাই আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তাহলে আমরাও আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাব।

আন্দোলনে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিক অধিকারের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়াচ্ছে পুলিশ। আমরা প্রশাসনের কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করি। এ সময় রমনা থানার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার রেকর্ড শুনিয়ে তারা বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, গত ১০ দিনের আন্দোলনে কোনো শিক্ষার্থী কোথাও কোনো হামলা করেনি। অথচ, অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলা করা হয়েছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে সারাদেশে আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সকল গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।

কোটা আন্দোলন : রোববার গণপদযাত্রা, রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি

আপডেট : ০৮:৩৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

সব সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার গণপদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পাশাপাশি একই দিন রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করবেন আন্দোলনকারীরা।

শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

কর্মসূচি অনুযায়ী, রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে গণপদযাত্রা শুরু হবে। গণপদযাত্রা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে স্মারকলিপি প্রদান করবে। গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ, শেরে বাংলা কলেজসহ ঢাকার সব প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে বলে জানান নেতারা।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলন শেষ হয়ে তারা ক্লাসে ফিরলেও আমাদের ছাত্র ধর্মঘট চলমান থাকবে। আমরা কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো না। আমরা চাই শিক্ষকরা আমাদের চলমান যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহযোগিতা করুক।

সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, সম্মানিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, শিক্ষার্থীরা আপনাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে গ্রহণ করেছে। আপনারা আন্দোলন শুরু করায় শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বসে থাকেনি। তাই আমাদের যৌক্তিক দাবির এই আন্দোলনে আপনারা কতটুকু পাশে থাকবেন সেটা দেখার সময় এসেছে। আমরা যেন এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা না দেখি যে কিছু শিক্ষক ক্লাস-পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিচ্ছে। আপনারা আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে প্রমান করুন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, আজকের এই জনদুর্ভোগের স্থায়িত্ব নির্ভর করে সরকারের ওপর। তারা আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিলেই আমাদের রাজপথে থাকতে হয় না। তাই আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তাহলে আমরাও আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাব।

আন্দোলনে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিক অধিকারের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়াচ্ছে পুলিশ। আমরা প্রশাসনের কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করি। এ সময় রমনা থানার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার রেকর্ড শুনিয়ে তারা বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, গত ১০ দিনের আন্দোলনে কোনো শিক্ষার্থী কোথাও কোনো হামলা করেনি। অথচ, অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলা করা হয়েছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে সারাদেশে আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সকল গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।