০৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের ‘নিরাপদ অঞ্চল’ আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১ জনে পৌঁছেছে। খবর রয়টার্সের।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার (১৩ জুলাই) খান ইউনিস শহরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত মানুষের শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০০ জন আহত হয়েছে। এর আগে এই হামলায় অন্তত ৭১ জন নিহত এবং ২৮৯ জনের বেশি মানুষ আহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল মন্ত্রণালয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই এলাকাটিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সেখানেই এই হামলা করা হলো।

এ ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, হামলার স্থানটিকে দেখে মনে হচ্ছে সেখানে ‘ভূমিকম্প’ আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকে হতাহতদের স্ট্রেচারে তোলা হচ্ছে।

অন্যরা বলছেন, হামলার মাত্রা এত শক্তিশালী ছিল যে তাদের তাঁবু ভেঙ্গে গেছে। মানুষের মরদেহ ও শরীরের অঙ্গ মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।

গাজা সিটির বাসিন্দা শেখ ইউসেফ বাস্তুচ্যুত হয়ে এখন আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস করেন। তিনি বলেন, আমি কোথায় ছিলাম বা কী ঘটছিল তাও বলতে পারব না। আমি তাঁবু রেখে আশপাশে তাকিয়ে দেখলাম, সব তাঁবু ভেঙে গেছে। মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, সর্বত্র মরদেহ। বয়স্ক নারীরা মেঝেতে পড়ে আছেন। ছোট বাচ্চাদের মরদেহ টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে আছে।

তবে ইসরায়েলের দাবি, এবারের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সামরিক বিভাগের প্রধান এবং ৭ অক্টোবরের হামলার কথিত এক মাস্টারমাইন্ডকে নিশানা করে করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফকে টার্গেট করে শনিবার (১৩ জুলাই) খান ইউনিস শহরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত মানুষের শিবিরে হামলা করা হয়েছে। এই হামলায় দেইফ ছাড়াও খান ইউনিসের কাসাম ব্রিগেডের প্রধান রাফে সালামাকে নিশানা করা হয়েছে। তারা দুজন নিহত হয়েছেন কিনা, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

তবে দেইফ ও সালামাকে টার্গেট করার যে দাবি ইসরায়েল করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি ইসরায়েলি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে।

বিশ্বমঞ্চে মাহফুজকে বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করালেন ড. ইউনূস

গাজার ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯১

আপডেট : ১১:০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১৪ জুলাই ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের ‘নিরাপদ অঞ্চল’ আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১ জনে পৌঁছেছে। খবর রয়টার্সের।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার (১৩ জুলাই) খান ইউনিস শহরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত মানুষের শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০০ জন আহত হয়েছে। এর আগে এই হামলায় অন্তত ৭১ জন নিহত এবং ২৮৯ জনের বেশি মানুষ আহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল মন্ত্রণালয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই এলাকাটিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সেখানেই এই হামলা করা হলো।

এ ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, হামলার স্থানটিকে দেখে মনে হচ্ছে সেখানে ‘ভূমিকম্প’ আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকে হতাহতদের স্ট্রেচারে তোলা হচ্ছে।

অন্যরা বলছেন, হামলার মাত্রা এত শক্তিশালী ছিল যে তাদের তাঁবু ভেঙ্গে গেছে। মানুষের মরদেহ ও শরীরের অঙ্গ মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।

গাজা সিটির বাসিন্দা শেখ ইউসেফ বাস্তুচ্যুত হয়ে এখন আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস করেন। তিনি বলেন, আমি কোথায় ছিলাম বা কী ঘটছিল তাও বলতে পারব না। আমি তাঁবু রেখে আশপাশে তাকিয়ে দেখলাম, সব তাঁবু ভেঙে গেছে। মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, সর্বত্র মরদেহ। বয়স্ক নারীরা মেঝেতে পড়ে আছেন। ছোট বাচ্চাদের মরদেহ টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে আছে।

তবে ইসরায়েলের দাবি, এবারের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সামরিক বিভাগের প্রধান এবং ৭ অক্টোবরের হামলার কথিত এক মাস্টারমাইন্ডকে নিশানা করে করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফকে টার্গেট করে শনিবার (১৩ জুলাই) খান ইউনিস শহরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত মানুষের শিবিরে হামলা করা হয়েছে। এই হামলায় দেইফ ছাড়াও খান ইউনিসের কাসাম ব্রিগেডের প্রধান রাফে সালামাকে নিশানা করা হয়েছে। তারা দুজন নিহত হয়েছেন কিনা, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

তবে দেইফ ও সালামাকে টার্গেট করার যে দাবি ইসরায়েল করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি ইসরায়েলি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে।