টানা দুটি কোপা আমেরিকা শিরোপার স্বাদ পেলো আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে রেকর্ড ১৬ বার কোপা জিতলো দলটি। এদিকে পারলো না কলম্বিয়া নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় কোপা জিতে নিতে। ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকে আর্জেন্টিনার কাছে হারতে হলো ল্যাটিন আমেরিকার দলটিকে।

নির্ধারিত ৯০ মিনেটে গোল শূণ্য থাকার পর, অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে গোল করে আর্জেন্টিনা। ১১২ তম মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের গোলে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারায় আলবেসেলেন্তিরা।

আমেরিকার মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর আগেই দর্শকদের হাঙ্গামা শুরু হয়। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, বিশৃঙ্খলার কারণে ৭টা ১৫ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হয়।

আজ শুরু থেকেই দুদল কিছুটা অগোছালো ফুটবল খেলছিলো। কলম্বিয়া খানিকটা শরীর নির্ভর খেলা খেলছিলো। অন্যদিকে চিরচেনা আর্জেন্টিার খেলায় তেমন ছন্দ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না।

প্রথমার্ধে কলম্বিয়া বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলো। তবে একটিও গোলে রূপান্তর করতে ব্যর্থ হয় তাঁরা।

প্রথমার্ধের শুরুতেই সুযোগ পেয়েছিলেন জুলিয়ান আলভারেজ। মন্টিয়েলের ক্রস বক্সের মধ্যে পান আলভারেজ। তার নেওয়া শট পোস্টের দূর দিয়ে চলে যায়। এরপর ষষ্ঠ মিনিটে লুইস দিয়াজ সুযোগ পেয়েছিলেন গোলের। তার নেওয়া নিচু শট আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ ধরে ফেলেন। প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। বিপজ্জনক জায়গায় নিকোলাস তাগলিয়াফিকোকে ফাউল করেন আরিয়াস। ফ্রি-কিক নেন মেসি। কিন্তু গোল করতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে পায়ের ইঞ্জুরিতে মাঠ ছেড়ে উঠে যান আর্জেন্টিনা ফুটবলের যাদুকর লিওনেল মেসি। চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়বেন। কিন্তু শরীর সায় না দেয়ায় সাইড বেঞ্চে চলে যেতে হয়। সেসময় মুখ ঢেকে কাঁদছিলেন তিনি।

এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিটেও কোন দল গোল করতে পারেনি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। ৯৫ মিনিটে গোলের দুর্দন্ত সুযোগ পেয়েছিলেন দি পল। কলম্বিয়ার ডিবক্সের ভেতর জটলার ভেতর বল পেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি সরাসরি গোলরক্ষক ভারগেসের হাতে তুলে দিতে, সহজ একটি গোলের সুযোগ নষ্ট হয়।

খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। ম্যাচের ১১২ তম মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের গোলে লিড পায় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারায়া দলটি।