০৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজ্যসভাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল এনডিএ জোট

লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এ কারণে এনডিএ জোটের সহায়তায় সরকার গঠন করতে হয়। এবার রাজ্যসভাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল বিজেপির জোট এনডিএ। গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করতে হলে তাকিয়ে থাকতে হবে জোটের বাইরের দলগুলোর দিকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, গত শনিবার রাজ্যসভায় রাকেশ সিন্হা, রাম শাকল, সোনাল মানসিংহ ও মহেশ জেঠমলানির মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়েছে। চারজনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় ওই চার আসন খালি হলো। রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্যসংখ্যা কমে হলো ৮৬।

২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার জন্য কোনো দল বা জোটের ১১৩ জন সদস্যকে থাকতে হবে। এনডিএর সদস্যসংখ্যা এখন ১০১, সংখ্যাগরিষ্ঠতার তুলনায় ১২টি আসন কম।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন বলছে, আগামী কয়েক মাসে একাধিক রাজ্যে রাজ্যসভার বেশ কয়েকটি আসনে নতুন সদস্য নির্বাচিত হবেন। সেখানে নিজেদের আসন ফের বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে এনডিএ। এর আগে এ নিয়ে থাকতে হবে সংকটে।

বর্তমানে রাজ্যসভায় বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার ৮৭ জন সদস্য রয়েছেন। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ২৬টি আসন। তৃণমূলের হাতে ১৩টি আসন। আর এএপি ও ডিএমকের হাতে ১০টি করে আসন। তবে, এর বাইরেও বেশ কিছু দল আছে, যারা কোনো জোটেরই শরিক নয়।

অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১ জন, এডিএমকের ৪ জন, বিজেডির ৯ জন রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন। অতীতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করতে বিজেপির সহায়ক হয়েছে এই দলগুলো। তবে, সম্প্রতি ওড়িশার বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর নবীন পট্টনায়কের দল বিজে়ডি জানিয়েছে, তারা রাজ্যসভায় আর বিজেপিকে সমর্থন করবে না। সে ক্ষেত্রে রাজ্যসভায় এই ‘নিরপেক্ষ’ দলগুলোর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্বমঞ্চে মাহফুজকে বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করালেন ড. ইউনূস

রাজ্যসভাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল এনডিএ জোট

আপডেট : ০৯:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এ কারণে এনডিএ জোটের সহায়তায় সরকার গঠন করতে হয়। এবার রাজ্যসভাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল বিজেপির জোট এনডিএ। গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করতে হলে তাকিয়ে থাকতে হবে জোটের বাইরের দলগুলোর দিকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, গত শনিবার রাজ্যসভায় রাকেশ সিন্হা, রাম শাকল, সোনাল মানসিংহ ও মহেশ জেঠমলানির মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়েছে। চারজনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় ওই চার আসন খালি হলো। রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্যসংখ্যা কমে হলো ৮৬।

২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার জন্য কোনো দল বা জোটের ১১৩ জন সদস্যকে থাকতে হবে। এনডিএর সদস্যসংখ্যা এখন ১০১, সংখ্যাগরিষ্ঠতার তুলনায় ১২টি আসন কম।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন বলছে, আগামী কয়েক মাসে একাধিক রাজ্যে রাজ্যসভার বেশ কয়েকটি আসনে নতুন সদস্য নির্বাচিত হবেন। সেখানে নিজেদের আসন ফের বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে এনডিএ। এর আগে এ নিয়ে থাকতে হবে সংকটে।

বর্তমানে রাজ্যসভায় বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার ৮৭ জন সদস্য রয়েছেন। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ২৬টি আসন। তৃণমূলের হাতে ১৩টি আসন। আর এএপি ও ডিএমকের হাতে ১০টি করে আসন। তবে, এর বাইরেও বেশ কিছু দল আছে, যারা কোনো জোটেরই শরিক নয়।

অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১ জন, এডিএমকের ৪ জন, বিজেডির ৯ জন রাজ্যসভার সাংসদ রয়েছেন। অতীতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করতে বিজেপির সহায়ক হয়েছে এই দলগুলো। তবে, সম্প্রতি ওড়িশার বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর নবীন পট্টনায়কের দল বিজে়ডি জানিয়েছে, তারা রাজ্যসভায় আর বিজেপিকে সমর্থন করবে না। সে ক্ষেত্রে রাজ্যসভায় এই ‘নিরপেক্ষ’ দলগুলোর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।