ভূমিদখল, চাদাঁবাজি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম খানের বিরুদ্ধে। দেশটিভির অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে তার নামে-বেনামে সম্পদের পাহার গড়ার তথ্য। তার সম্পদের হিসাব রাখতে রেখেছেন অন্তত ১শ’ ম্যানেজার। তার এই সম্পদের উৎস কি তা যাচাইয়ে দুদক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রপ্রধানের দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম খান ও তার পিতা কিছুদিন আগেও পাটুরিয়া, অরিচা ফেরিঘাটে করতেন সিদ্ধ ডিমের হকারি। তারপর করতেন এক সময়ের পরিচিত তেল ব্যবসায়ী ওয়াজেদ মিয়ার দোকানের কর্মচারির কাজ। অভিযোগ রয়েছে সেখান থেকে সক্ষতা হয় চোরাইতেলের ব্যবসায়ীদের। ঘাট এলাকায় গড়ে তোলেন তার ভাগ্নে জেলা বিএনপি নেতা আলালের নেতৃত্বে এক বাহিনী। তারপরই শুরু হয় তার ভূমি দখল, চাদাবাজি, তেলচুরিসহ নানা অপকর্ম। গড়ে তুলেন এক নতুন সম্রাজ্য। গড়তে থাকেন সম্পদের পাহাড়। টাকার দাপটে বাগিয়ে নেন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সহ-সভাপতি পদ। সেইসঙ্গে দুইবার নির্বাচিত হন শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান। দেশটিভির অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে তার নামে-বেনামে সম্পদের পাহার গড়ার তথ্য। তার সম্পদের হিসাব রাখতে রেখেছেন অন্তত ১শ’ ম্যানেজার। অভিযোগ রয়েছে এরই মধ্যে সম্পদ করেছেন মানিকগঞ্জ শহরে ৫ তলা বাড়ি, ঢাকায় রয়েছে অন্তত ১২টি বাড়ি, ৮টি লঞ্চ, ৭টি তেলের পাম্প, সামুদ্রিক শিপ, তেলের জাহাজ, ট্র্যাংকার, পরিবহন, মিল কারখানা, অগনিত জমি। এছাড়া বিদেশেও বাড়ি ও ব্যবসা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রহিম খান এলাকায় ভূমি দস্যু হিসেবে পরিচিত। তিনি টাকা ও ক্ষমতার দাপটে অনেক সাধারণ মানুষের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা দখল করেছেন। এছাড়া তিনি এতোটাই বেপরোয়া যে জমি দখল করা যেন তার নেশায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি তার আর কত সম্পদ হলে তিনি থামবেন। তাই তার এই সম্পদের উৎস কি তা যাচাইয়ে দুদক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রপ্রধানের দৃষ্টি কামনাো করেন তারা।
এ বিষয়ে আব্দুর রহিম খান বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলছেন তারা মিথ্য অভিযোগ তুলেছেন। তারা যদি আমার কাছে আসতো তাহলে এমনটা হতো না। এছাড়া তারা মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে ভালো কাজ করেননি বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম বলেন, ব্যক্তির দায়ভার কখনোই দল নেবে না। তিনি যদি কোনো অপকর্ম ও দুর্নীতি করে থাকেন তা তদন্তের বিষয়। যদি এ বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায় তা দলের জন্য ক্ষতিকর বলে জানান তিনি।