রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এক পর্যায়ে হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন দেওয়া হয়। এ সময় শিশুসহ ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, বাবু মিয়া (৫০) ও তার দুই বছরের ছেলে রোহিত মিয়া, পথচারী পিয়াস (১৭), মনিরুল (২০), সোহাগ (২৭) ও ফয়সাল (১৮)। এদের মধ্যে মাথায় গুলিবিদ্ধ ফয়সালের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
গুলিবিদ্ধ শিশু রোহিত মিয়ার মা লিপি আক্তার বলেন, আজ সন্ধ্যায় আমার সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে বাসায় ছিলাম। হঠাৎ বাইরে থেকে গুলি এসে আমার স্বামী ও সন্তানের গায়ে লাগে। এখানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিশুসহ ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে শনিরআখড়া থেকে আসা ফয়সালের মাথায় গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উপস্থিত থাকা একজন আন্দোলনকারী বলেন, পুলিশের জন্যই সবকিছু হলো। আমরা ছাত্ররা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। পরে পুলিশ গুলি, গ্যাস মারে। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বাইরে থেকে ঢাকায় যানবাহনের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। আবার ঢাকা থেকেও যানবাহনের বাইরে যাওয়া বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১৭ই জুলাই) রাত ১০টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা সংঘর্ষ চলছে। শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। শনিরআখড়ার কাজলায় হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশেই ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রয়েছে। তবে পুলিশ জায়গাটির নিয়ন্ত্রণ না নেওয়া পর্যন্ত আগুন নেভাতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে। কয়েকটি মোটরসাইকেল ও সিএনজি পুড়িয়ে দিয়েছে আন্দোলনকরীরা। এর আগে যাত্রাবাড়ী থানায় হামলার ঘটনা ঘটে।