১০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা আন্দোলন ছিনতাই হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি-জামাত দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বুধবার(১৭ই জুলাই)সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় যোগ দিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি ছিনতাই হয়ে গেছে। আদালতের নির্দেশনার পরও আন্দোলন দূরভিসন্ধিমূলক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়াও গতকালের হত্যাকন্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার কথাও জানান হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা না বুঝেই কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কোটা নেই। এটি জানার পরও যারা আন্দোলন করছে…। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে সেখানে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এরপর সেখানে বিএনপি-জামায়াত ঢুকেছে। কোটা আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত প্রবেশ করে কর্মসূচি ঠিক করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো সক্রিয়। মানে যারা ষড়যন্ত্রকারী। এটি মানুষ বোঝে। তারা নির্বাচনের আগে সক্রিয় ছিল। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের নির্বাচন পণ্ড করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।

হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সরকার বাতিল করেছে। সরকার এটি বাতিল করেছে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে। গত কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষা কোটাবিহীন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোটার ভিত্তিতে নয়, সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সম্পূর্ণ কোটাবিহীনভাবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই কোটা ছিল। স্বাধীনতার আগেও কোটা ছিল। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, নারী ও জেলা কোটা ছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল না। যেটি আমাদের সরকার পুনর্বহাল করেছে। বিভিন্ন পর্যায়ের কোটা দেশ স্বাধীনের পর থেকে ছিল।

কোটা আন্দোলন ছিনতাই হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট : ০৭:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

শিক্ষার্থীদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি-জামাত দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বুধবার(১৭ই জুলাই)সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় যোগ দিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি ছিনতাই হয়ে গেছে। আদালতের নির্দেশনার পরও আন্দোলন দূরভিসন্ধিমূলক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়াও গতকালের হত্যাকন্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার কথাও জানান হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা না বুঝেই কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কোটা নেই। এটি জানার পরও যারা আন্দোলন করছে…। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে সেখানে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এরপর সেখানে বিএনপি-জামায়াত ঢুকেছে। কোটা আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত প্রবেশ করে কর্মসূচি ঠিক করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো সক্রিয়। মানে যারা ষড়যন্ত্রকারী। এটি মানুষ বোঝে। তারা নির্বাচনের আগে সক্রিয় ছিল। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের নির্বাচন পণ্ড করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।

হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সরকার বাতিল করেছে। সরকার এটি বাতিল করেছে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে। গত কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষা কোটাবিহীন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোটার ভিত্তিতে নয়, সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সম্পূর্ণ কোটাবিহীনভাবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই কোটা ছিল। স্বাধীনতার আগেও কোটা ছিল। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, নারী ও জেলা কোটা ছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল না। যেটি আমাদের সরকার পুনর্বহাল করেছে। বিভিন্ন পর্যায়ের কোটা দেশ স্বাধীনের পর থেকে ছিল।