ঢাকা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শহীদের রক্তের ওপর কোনো সংলাপ হবে না: নাহিদ ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শহীদের রক্তের ওপর কোনো সংলাপ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, কেবল কোটা সংস্কার করলেই ফয়সালা হবে না। প্রথমে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সরকার দাবি কর্ণপাত করেনি৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার দিয়ে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা করছে। এখন সংলাপের নামে, দাবি আদায়ের নামে নতুন প্রহসন শুরু করছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহিংসতা চালিয়ে সরকার উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর দায় সরকারেরই। সরকার আলোচনার কোনো পরিস্থিতি রাখেনি।

কোটা আন্দোলনকারীরা বলেন, যদি এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজপথ থেকে সরানো না হয়; যদি হল, ক্যাম্পাস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া না হয়, যদি এখনো গুলি অব্যাহত থাকে তাহলে সরকারকেই সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে।

তিনি বলেন, সকল ছাত্র হত্যার বিচার করতে হবে। ক্যাম্পাগুলোকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। অনতিবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরস্ত্র করে রাজপথ থেকে অপসারণ করতে হবে। শহীদের রক্তের ওপর কোনো সংলাপ হবে না। সরকারকেই সমাধানের পথ বের করতে হবে৷

ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আহ্বান থাকবে, খুনি সরকারকে সমর্থন না দিয়ে ছাত্রদের পাশে থাকুন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান থাকবে, বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন। বাংলাদেশে গণহত্যা চলছে।

তিনি বলেন, আমাদের আজকে রাতের মধ্যেই গ্রেপ্তার অথবা গুম করে ফেলতে পারে। আপনারা কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন। সবাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিটা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শহীদের রক্তের ওপর কোনো সংলাপ হবে না: নাহিদ ইসলাম

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

শহীদের রক্তের ওপর কোনো সংলাপ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, কেবল কোটা সংস্কার করলেই ফয়সালা হবে না। প্রথমে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সরকার দাবি কর্ণপাত করেনি৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার দিয়ে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা করছে। এখন সংলাপের নামে, দাবি আদায়ের নামে নতুন প্রহসন শুরু করছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহিংসতা চালিয়ে সরকার উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর দায় সরকারেরই। সরকার আলোচনার কোনো পরিস্থিতি রাখেনি।

কোটা আন্দোলনকারীরা বলেন, যদি এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজপথ থেকে সরানো না হয়; যদি হল, ক্যাম্পাস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া না হয়, যদি এখনো গুলি অব্যাহত থাকে তাহলে সরকারকেই সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে।

তিনি বলেন, সকল ছাত্র হত্যার বিচার করতে হবে। ক্যাম্পাগুলোকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। অনতিবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরস্ত্র করে রাজপথ থেকে অপসারণ করতে হবে। শহীদের রক্তের ওপর কোনো সংলাপ হবে না। সরকারকেই সমাধানের পথ বের করতে হবে৷

ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আহ্বান থাকবে, খুনি সরকারকে সমর্থন না দিয়ে ছাত্রদের পাশে থাকুন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান থাকবে, বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন। বাংলাদেশে গণহত্যা চলছে।

তিনি বলেন, আমাদের আজকে রাতের মধ্যেই গ্রেপ্তার অথবা গুম করে ফেলতে পারে। আপনারা কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন। সবাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিটা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করুন।