সারা দেশে চলছে কোটা আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
- আপডেট সময় : ১১:৪৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
- / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আজ সারা দেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করবেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তাঁর ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাত পৌনে ৮টায় সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ হাসপাতাল ও জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে এবং রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলবে না বলে জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যাক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।”
দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে কর্মসূচি সফল করতে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, “শুধুমাত্র হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারা দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, ১৮ জুলাইয়ের কর্মসূচি সফল করুন।”
কোটা আন্দোলন ঘিরে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের টানা তৃতীয় দিনের মতো সংঘর্ষ হয়েছে। ব্যাপক সহিংসতার শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়।
এরই মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী প্রশাসনের নির্দেশে হল ছেড়েছেন। তবে কেউ কেউ এখনও অবস্থান করছেন হলেই। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী চলে গেছেন। বাকিরাও ধীরে ধীরে হল ছাড়ছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মঙ্গলবার পুলিশ ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে তিন জেলায় মৃত্যু হয় শিক্ষার্থীসহ ৬ জনের। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিটি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও।