০৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলোচনার পথও খোলা থাকবে: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৩:৫০:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
  • ২৫ দেখেছেন

শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। এজন্য সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ ও সমাধানের পথ তৈরির প্রত্যাশা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনের নেতারা বলেন, আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের আহ্বান জানায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের যৌক্তিক ও ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-ছাত্রলীগ যৌথভাবে হামলা করে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ থাকলেও সরকার কোনো ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার প্রথমে বিচার বিভাগকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কালক্ষেপণ ও দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সহিংসভাবে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা চলছে।

কোটা আন্দোলনের নেতারা বলেন, এখন পর্যন্ত সারাদেশে হাজারের ওপর শিক্ষার্থী আহত এবং সাতজনের মতো শহিদ হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জোর করে বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে পুলিশ হলে হলে টিয়ারশেল, গ্রেনেড ও গুলি চালিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সোয়াত যৌথভাবে কফিন মিছিলে হামলা চালায়।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়ে সরকারই উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি করেছে জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। সরকার দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করে সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে। হামলার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মী ও দায়িত্বরত পুলিশদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। জাতীয় সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে কোটার সংস্কার করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, চলমান ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ কোনোভাবেই জড়িত নয়। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের চলমান আন্দোলনে কেউ সহিংসতা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর দায়ভার নিবে না। আমরা সবাইকে অনুরোধ করব, যাতে আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের প্রচেষ্টা না করে। কারণ, আমাদের এ আন্দোলন শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবির আন্দোলন।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অভিভাবক, শিক্ষকবৃন্দ এবং সর্বস্তরের নাগরিকদের আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, শাটডাউনে অফিস আদালত সব বন্ধ রাখার আহ্বান থাকবে। সড়কপথ, রেলপথ অবরোধ হবে। অ্যাম্বুলেন্স, ইমার্জেন্সি পরিবহন ও গণমাধ্যম পরিবহন শাটডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করার আহ্বান রইলো।

আলোচনার পথও খোলা থাকবে: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

আপডেট : ০৩:৫০:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। এজন্য সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ ও সমাধানের পথ তৈরির প্রত্যাশা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনের নেতারা বলেন, আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের আহ্বান জানায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের যৌক্তিক ও ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-ছাত্রলীগ যৌথভাবে হামলা করে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ থাকলেও সরকার কোনো ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার প্রথমে বিচার বিভাগকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কালক্ষেপণ ও দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সহিংসভাবে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা চলছে।

কোটা আন্দোলনের নেতারা বলেন, এখন পর্যন্ত সারাদেশে হাজারের ওপর শিক্ষার্থী আহত এবং সাতজনের মতো শহিদ হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জোর করে বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে পুলিশ হলে হলে টিয়ারশেল, গ্রেনেড ও গুলি চালিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সোয়াত যৌথভাবে কফিন মিছিলে হামলা চালায়।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়ে সরকারই উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি করেছে জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। সরকার দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করে সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে। হামলার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মী ও দায়িত্বরত পুলিশদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। জাতীয় সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে কোটার সংস্কার করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, চলমান ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ কোনোভাবেই জড়িত নয়। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের চলমান আন্দোলনে কেউ সহিংসতা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর দায়ভার নিবে না। আমরা সবাইকে অনুরোধ করব, যাতে আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের প্রচেষ্টা না করে। কারণ, আমাদের এ আন্দোলন শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবির আন্দোলন।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অভিভাবক, শিক্ষকবৃন্দ এবং সর্বস্তরের নাগরিকদের আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, শাটডাউনে অফিস আদালত সব বন্ধ রাখার আহ্বান থাকবে। সড়কপথ, রেলপথ অবরোধ হবে। অ্যাম্বুলেন্স, ইমার্জেন্সি পরিবহন ও গণমাধ্যম পরিবহন শাটডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করার আহ্বান রইলো।