০৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি: উত্তাল রাজধানী

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনে দিনভর উত্তাল রাজধানী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় নেমেছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে আন্দোলন প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে লাঠিসোটাসহ অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে চলছে মুহূর্মুহূ সংঘর্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) তারা যাত্রবাড়ি, রামপুরা, মধ্যবাড্ড এবং মতিঝিলের ইত্তেফাক মোড় এবং মিরপুর-১০ নম্বরে জড়ো হয়েছে আন্দোলন করছে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

রাজধানীর শনিরআখড়া, কাজলা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় হানিফ ফ্লাইওভারে আটকা পড়েছে যানবাহন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শনিরআখড়া এলাকার দিক থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে যাত্রাবাড়ীর দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

বর্তমানে শনিরআখড়ার কাজলা এলাকা থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পুরো সড়কজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের কারণে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে অনেক যানবাহন আটকে আছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করছেন আন্দোলনকারীরা। এতে মহাসড়কটিতে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেখানে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে কোনো যানবাহন ঢাকা থেকে বের হতে পারছে না। আবার কোনো যানবাহন ঢুকতেও পারছে না। এমনকি রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেলও যেতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে অনেক গাড়ি আটকা পড়েছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি দূরপাল্লার বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাও রয়েছে।

এদিকে রাজধানীর রামপুরায় ইস্ট ওয়েস্ট ও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ তাদের দিকে লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে রামপুরায় অবস্থান নেয় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে এতে যোগ দেয় সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কের দুপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপর শিক্ষার্থীরা আবার একত্রিত হয়ে রামপুরা ব্রিজের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এছাড়া মেরুল বাড্ডায় আন্দোলন করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। পরে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

এদিকে কোটা আন্দোলনকারীদের ঘোষিত সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিত পালনের অংশ হিসেবে রাজধানীর মতিঝিলে ইত্তেফাক মোড়ে পুরান ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছে। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার নারী শিক্ষার্থীরা ইত্তেফাক মোড়ে অবস্থান নেয়।

রাজধানীর মিরপুরে ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। জবাবে পুলিশও সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার পর থেকে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ শুরু হয়।

সকালে মিরপুর ১০ নম্বরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আন্দোলনকারীদের তাড়া খেয়ে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এছাড়া দুপুর সোয়া ১২টার পরে মিরপুরে ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় আন্দোলনকারীরা ধাওয়া দিয়ে পুলিশকে মিরপুর থানার দিকে নিয়ে যায়। আবার পুলিশ ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীদের মিরপুর ১০ নম্বরের দিকে নিয়ে যায়।

এর আগে ১০ নম্বর গোলচত্বরের পশ্চিম পাশে পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। জবাবে পুলিশও সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এতে মিরপুর ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

রাজধানীর উত্তরায়ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও র‍্যাবের সংঘর্ষ হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা উত্তরার জমজম টাওয়ারের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে মূল সড়কে উঠতে চাইলে পুলিশ ও র‍্যাব তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে ঢাকা–ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা অংশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

হাউজ বিল্ডিং থেকে রাজলক্ষী মোড় পর্যন্ত সড়কে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছেন। তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ ও র‍্যাব।

বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির সায়েন্স্যাব মোড়ে নেমে আসে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের এবং ছাত্রলীগের সাথে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এছাড়াও রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফটকে এবং আজিমপুরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে গতকাল ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের প্লাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।

বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি: উত্তাল রাজধানী

আপডেট : ০২:১৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনে দিনভর উত্তাল রাজধানী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় নেমেছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে আন্দোলন প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে লাঠিসোটাসহ অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে চলছে মুহূর্মুহূ সংঘর্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) তারা যাত্রবাড়ি, রামপুরা, মধ্যবাড্ড এবং মতিঝিলের ইত্তেফাক মোড় এবং মিরপুর-১০ নম্বরে জড়ো হয়েছে আন্দোলন করছে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

রাজধানীর শনিরআখড়া, কাজলা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় হানিফ ফ্লাইওভারে আটকা পড়েছে যানবাহন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শনিরআখড়া এলাকার দিক থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে যাত্রাবাড়ীর দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

বর্তমানে শনিরআখড়ার কাজলা এলাকা থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পুরো সড়কজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের কারণে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে অনেক যানবাহন আটকে আছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করছেন আন্দোলনকারীরা। এতে মহাসড়কটিতে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেখানে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে কোনো যানবাহন ঢাকা থেকে বের হতে পারছে না। আবার কোনো যানবাহন ঢুকতেও পারছে না। এমনকি রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেলও যেতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে অনেক গাড়ি আটকা পড়েছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি দূরপাল্লার বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাও রয়েছে।

এদিকে রাজধানীর রামপুরায় ইস্ট ওয়েস্ট ও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ তাদের দিকে লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে রামপুরায় অবস্থান নেয় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে এতে যোগ দেয় সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কের দুপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপর শিক্ষার্থীরা আবার একত্রিত হয়ে রামপুরা ব্রিজের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এছাড়া মেরুল বাড্ডায় আন্দোলন করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। পরে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

এদিকে কোটা আন্দোলনকারীদের ঘোষিত সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিত পালনের অংশ হিসেবে রাজধানীর মতিঝিলে ইত্তেফাক মোড়ে পুরান ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছে। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার নারী শিক্ষার্থীরা ইত্তেফাক মোড়ে অবস্থান নেয়।

রাজধানীর মিরপুরে ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। জবাবে পুলিশও সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার পর থেকে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ শুরু হয়।

সকালে মিরপুর ১০ নম্বরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আন্দোলনকারীদের তাড়া খেয়ে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এছাড়া দুপুর সোয়া ১২টার পরে মিরপুরে ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় আন্দোলনকারীরা ধাওয়া দিয়ে পুলিশকে মিরপুর থানার দিকে নিয়ে যায়। আবার পুলিশ ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীদের মিরপুর ১০ নম্বরের দিকে নিয়ে যায়।

এর আগে ১০ নম্বর গোলচত্বরের পশ্চিম পাশে পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। জবাবে পুলিশও সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এতে মিরপুর ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

রাজধানীর উত্তরায়ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও র‍্যাবের সংঘর্ষ হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা উত্তরার জমজম টাওয়ারের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে মূল সড়কে উঠতে চাইলে পুলিশ ও র‍্যাব তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে ঢাকা–ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা অংশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

হাউজ বিল্ডিং থেকে রাজলক্ষী মোড় পর্যন্ত সড়কে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছেন। তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ ও র‍্যাব।

বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির সায়েন্স্যাব মোড়ে নেমে আসে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের এবং ছাত্রলীগের সাথে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এছাড়াও রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফটকে এবং আজিমপুরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে গতকাল ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের প্লাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।

বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।