রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। বেলার ১২টার পর তাঁরা মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশ পণ্ড করে দেন শিক্ষার্থীরা।
আমাদের প্রতিবেদক ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, বেলা ১১টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে স্বাধীনতা বিরোধীদের নৈরাজ্য সৃষ্টির’ প্রতিবাদে একটি সমাবেশ ছিল। সেখানে আওয়ামী লীগের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এ সময় আওয়ামী লীগে কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েকদফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তাদের কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মেরুল বাড্ডায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। শনিরআখড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলাকা থেকে কোনো অবরোধ বা সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
গতকাল বুধবার রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে আজও সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
জরুরি সেবা, অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ ও খাদ্য পণ্য বহনকারী যানবাহন এই শাটডাউনের আওতার বাইরে থাকার ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ঘোষিত দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউনকে’ কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।